চট্টগ্রামের রাউজানে হালদা নদীর জোয়ারের পানিতে ভেসে আসা অজ্ঞাত নারীর লাশের পরিচয় মিলেছে। নিহত এই নারীর নাম খুরশিদ নাহার (৫৯)। তিনি তিনি চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানাধীন মোহরা এলাকার চর রাঙ্গামাটিয়া মহল্লার কদল মাঝির বাড়ির মৃত মো. ইদ্রিসের স্ত্রী।
৭ জুন (শুক্রবার) সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাউজান থানার পূর্বগুজরা তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আরিফ এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
নিহতের ছেলে আনিসুর রহমান বলেন, আমার মা, প্রবাসী ছোট ভাইয়ের স্ত্রী ও আমার এক ছেলেসহ পশ্চিম মোহরা কামালের দোকানের সেখানে ভাড়া বাসায় থাকেন। গত বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টার দিকে ময়দা আনতে মুদির দোকানে যায়। ঘন্টাখানেক পরেও ফিরে না আসায় সম্ভাব্য সকল জায়গার খোঁজখুঁজি করি। শুরুবার সকালে কয়েকটি অনলাইনে নিউজ পেয়ে মায়ের মরদেহের সন্ধান পায়।
তিনি আরো জানান, তার মায়ের মানসিক সমস্যা রয়েছে। তাদের তেমন কোন শত্রু নেই। কারো প্রতি সন্দেহও নেই। তার ধারণা কালুরঘাটের সেখানে খালে পড়ে তার মায়ের মৃত্যু হয়। পরে মরদেহ জোয়ারের সময় হালদা নদীতে ভেসে যায়।
রাউজান থানার পূর্বগুজরা তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আরিফ বলেন, নিহতের ছেলে আনিসুর রহমান তার মায়ের লাশ শনাক্ত করেন। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়। নিহত খুরশিদ নাহার চার মেয়ে ও দুই ছেলের জননী। তাদের পরিবারের কারো প্রতি সন্দেহ বা অভিযোগ না থাকলেও মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে আমি নিহতের বাড়ি, ভাড়া বাসারস্থল মোহরা এলাকা হতে নানা তথ্য সংগ্রহ করেছি। তার স্বজনদের সাথে কথা বলেছি। তার বাসার পাশে নদী আছে। তিনি নদীতে কিভাবে পড়েছেন নাকি কেউ তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ফেলে দিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়াও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে আসার পর মৃত্যুর আসল রহস্য উন্মোচিত হবে। পরবর্তীতে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য,গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯ টায় রাউজান উপজেলার পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের কাগতিয়ার গ্রমের ১নম্বর ওয়ার্ডের কাশেম নগর এলাকার হালদা নদীর ধারে জোয়ারের পানিতে ভেসে আসা একটি নারীর মরদেহ উদ্ধার করেন রাউজান থানা পুলিশ। পরেরদিন শুক্রবার সকালে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। বিভিন্ন পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে সংবাদ পেয়ে খুরশিদা নাহারের স্বজনেরা মর্গে গিয়ে মরদেহটি শনাক্ত করেন।