২৪ অক্টোবর ২০২৫

বাংলার চিরায়ত উৎসব চৈত্র সংক্রান্তি আজ

বাংলাধারা ডেস্ক »

বাংলার চিরায়ত উৎসব চৈত্র সংক্রান্তি আজ। চৈত্র মাসের শেষ দিন চৈত্র সংক্রান্তি। আবার একটি বাংলা বর্ষেরও শেষ দিন। পরের দিন বৃহস্পতিবার পয়লা বৈশাখ, নতুন বাংলা বর্ষ ১৪২৯।

জীর্ণ, পুরাতন সবকিছু ভেসে যাক, ‘মুছে যাক গ্লানি এভাবে বিদায়ী সূর্যের কাছে এ আহ্বান জানাবে বাঙালি। খবর বাসসের। আবহমান বাংলার চিরায়িত নানা ঐতিহ্যকে ধারণ করে আসছে এই চৈত্র সংক্রান্তি বছরের শেষ দিন হিসেবে পুরাতনকে বিদায় ও নতুন বর্ষকে বরণ করার জন্য প্রতিবছর চৈত্র সংক্রান্তিকে ঘিরে থাকে নানা অনুষ্ঠান উৎসবের আয়োজন।

মনে করা হয়, চৈত্র সংক্রান্তিকে অনুসরণ করেই পহেলা বৈশাখ উদযাপনের এত আয়োজন। তাই চৈত্র সংক্রান্তি হচ্ছে বাঙালির আরেক বড় উৎসব।

এর আগের দুইবছর করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে পয়লা বৈশাখসহ সবধরনের জনসমাগমের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে কোন অনুষ্ঠানও ছিলনা। তবে এবার অনেকটা করোনা মুক্ত পরিবেশেই চৈত্র সংক্রান্তি এবং বাংলা নববর্ষ পালনে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

গত দুই বছর করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে পহেলা বৈশাখসহ সব ধরনের জনসমাগমের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। চৈত্রসংক্রান্তি উপলক্ষে কোনও অনুষ্ঠানও ছিল না। তবে এবার অনেকটা করোনামুক্ত পরিবেশেই চৈত্রসংক্রান্তি এবং বাংলা নববর্ষ পালনে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

একাত্তরের পর গত দুই বছর নববর্ষের প্রথম প্রহরে রমনার বটমূলে ছায়ানটের অনুষ্ঠান হয়নি। এবার ছায়ানটের অনুষ্ঠানসহ বর্ণিল শোভাযাত্রার প্রস্তুতি নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ।

সব মিলিয়ে আজ সকালে ভোরের প্রথম আলো রাঙিয়ে দেবে নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা আর সম্ভাবনাকে। আগামী বছরটা যেন হয়ে উঠে করোনাভাইরাসমুক্ত নতুন বিশ্ব এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ এই কামনা করেই পুরাতন বর্ষকে বিদায় জানানো হবে আজ।

আরও পড়ুন