২৩ অক্টোবর ২০২৫

রোহিঙ্গা ভাড়া করে ছাত্রলীগ নেতার কুশপুত্তলিকা দাহ’র অভিযোগ

জেলা প্রতিনিধি, কক্সবাজার»

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলা মৌলভী বাজারে মাইকে ঘোষনা দিয়ে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর রোহিঙ্গা ভাড়া করে উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক নুরুল মোস্তফার কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে বলে দাবি উঠেছে। রাজনৈতিক স্বার্থহাসিলের জন্য ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে মিছিল বের করা হয় বলেও জানান স্থানীয়রা।

বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে কক্সবাজার রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক অনাড়ম্বর সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি তুলেন ওই ঘটনার ভুক্তভোগীরা।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীদের পক্ষে সোলতান আজম লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত শুক্রবার সকালে হ্নীলা ইউনিয়নের ১নাম্বার ওয়ার্ডের পেঠান আলীর ছেলে আলম তার ইজিবাইক নিয়ে মৌলভীবাজারে দাড়িয়ে ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে যাওয়ার সময় ২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সোনা আলীর ছেলে সাইফুলের সাথে কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে দুইজন মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। তাদের মারামারি উভয়ের আত্মীয় স্বজন জড়িয়ে পড়ে। ধীরে ধীরে তা গ্রামের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে। সেদিন জুমা’র নামাজ পড়ে স্থানীয় ২নং ওয়ার্ড মেম্বার বেলাল উদ্দিন উভয় পক্ষের উত্তেজনাকর পরিস্থিতি শান্ত না করে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে ১নং ওয়ার্ডে লোকজন জড়ো করেন। এবং উপস্থিত জনগণের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে দেন। এক পার্যায়ে দুই গ্রামবাসি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে ইটপাটকেল, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে থানা পুলিশ, র‌্যাব সদস্যরা এসে উভয় পক্ষকে শান্ত করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন। স্থানীয় চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী ও উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক নুরুল মোস্তফাসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

ভুক্তভোগী আলম বলেন, এ ঘটনাটি ছিল আমার সাথে এক মোটরসাইকেল আরোহীর। ঘটনাটি সমাধান না করে একই দিন রাতে কিছু জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতার ইন্দনে ২নং ওয়ার্ডের লোকজনকে উস্কে দিয়ে মৌলভীবাজারে প্রধান সড়কে মিছিল বের করেন। এ সময় উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল মোস্তফার নামে বিভিন্ন শ্লোগান দেয় এবং তার কুশপুত্তলিকা দাহ করে। অথচ এই ঘটনায় তার কোন সম্পৃক্ততা ছিলো না।

তিনি বলেন, সংঘর্ষ হয়েছে দুই গ্রামের মানুষের মাঝে কিন্তু মিছিল হচ্ছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। কেন এমনটি হলো তা বুঝতে পারছি না। তবে জানতে পারছি রাজনৈতিক স্বার্থহাসিলের জন্য ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে মিছিলটি করিয়েছে এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে।

আলম বলেন, আমরা জেনেছি ভাড়া করা রোহিঙ্গা দিয়ে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে মিছিলটি করা হয়েছে। আর টাকা বিনিয়োগ করেছেন ইয়াবা ব্যবসায়ীরা।

ভুক্তভোগীদের দাবি, দুই গ্রামের ঘটনা সুষ্ঠু সমাধান না করে উল্টো সংঘর্ষে জড়িয়ে দেওয়া কখনো মানবিক কল্যানের রাজনীতি হতে পারে না। আমাদের আশঙ্কা হচ্ছে এরা আরো বড় ধরনের অপরাধ সংগঠিত করতে পারে। বিশেষ করে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত হওয়ায় আমরা আতংকে রয়েছি ১নং ওয়ার্ডের মানুষ। চক্রটি তাদের রাজনৈতিক হীনস্বার্থে যদি রোহিঙ্গা অপরাধীদের ব্যবহার করা হয় তবে বড় ক্ষতি হতে পারে সমাজের।

ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক নুরুল মোস্তফার অনেক প্রতিপক্ষ রয়েছে। রাজনীতি করলে প্রতিপক্ষ থাকে। কিন্তু দুই গ্রামের মানুষকে ব্যবহার করে তার প্রতিপক্ষরা ছাত্রলীগের সুনাম নষ্ট করাটা দুঃখজনক বলে সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা দাবি করেন।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে, ইমাম হোসেন, মোহাম্মদ আবছার, সৈয়দুর বশর, মোহাম্মদ আয়েস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন