মামুনুর রশিদ অভি »
ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানেই খুশি— এই প্রবাদ বাক্যটি যেমন চিরন্তন সত্য, ঠিক তেমনই চিরন্তন সত্য অসহায় পথশিশুদের মাঝে ঈদ আসলেও আসে না ঈদের আনন্দ। তাই কোমলমতি এসব ছিন্নমূল শিশুদের মাঝে হাসি ফুটাতে ব্যাতিক্রমধর্মী উদ্যোগে নিয়েছেন চট্টগ্রামের মহিলা সমিতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরিক্ষার্থী সামিয়া মাহাদিয়া রায়দা।
ঈদের আনন্দ পথশিশুদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে ২০২০ সাল থেকে তাদের পাশে দাঁড়ানোর কথা চিন্তা করেন রায়দা। সেই চিন্তা থেকে ওই বছর ঈদুল ফিতরে মাত্র ১০-১২ জনকে ঈদের উপহার দেন। এরপর ধীরে ধীরে এই সংখ্যা বাড়তে থাকে। এমন মহৎ কাজকে সাধুবাদ জানিয়ে এগিয়ে আসেন তার সহপাঠী ও শুভাকাঙ্ক্ষিরা। সর্বশেষ গত শনিবার (২৩ এপ্রিল) ঈদ উপলক্ষে নগরীর প্রায় ৮০ জন পথশিশুদেরকে ঈদের জামা উপহার দেয় রায়দা এবং তার সহযোগিরা।
ব্যতিক্রমধর্মী এমন মানবিক উদ্যোগের বিষয়ে রায়দা বাংলাধারাকে বলেন, ‘আমাদের সমাজে অনেক অসহায় ও ছিন্নমূল পথশিশু রয়েছে যাদের পাশে থাকা আমাদের জরুরি। ঈদকে ঘিরে আমরা সবাই নামিদামি পোশাক নিয়ে থাকি, কিন্তু যারা অসহায় তাদের একটি জামা কেনারও সামর্থ্য থাকে না। এমন অমানবিক দৃশ্য আমাকে নাড়া দেয়। মূলত তাদের মুখে হাসি ফুটাতে এমন উদ্যোগ। তারা হাসলেই আনন্দের এই ঈদও হাসবে, এই পৃথিবী হাসবে।’
নগরীর ফুটপাতে অনেক পথশিশুকে দেখা যায়— যাদের রাত কাটে এই ফুটপাতেই। এদের কারো বাবা নেই, কারো মা নেই, কারো আবার বাবা-মা দুজনই নেই। এদের বেশির ভাগই রাস্তার পাশে বেড়ে উঠে। মানুষের কাছ থেকে হাত পেতে যা পায় তা দিয়েই দিন কাটে। এই অসহায় পথশিশুদের ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করার মতো তেমন সুযোগ হয় না। মূলত এই সুযোগকে বাস্তবে রুপ দেওয়ার জন্য রায়দাসহ সহপাঠিদের এমন উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন রায়দা।
সমাজ সচেতনরা জানান, ঈদের খুশির আমেজে সমাজের প্রতিটি মানুষের মানবিক হওয়া দরকার। যেখানে বেশি দামের না হলেও একটু কম দামের নতুন পোশাকের ব্যবস্থা করে দিতে পারলে পথশিশুদের মুখে ফুটবে হাসি। সকলের মানবিক সহানুভূতিতে তাদের মুখের হাসি ফুটানো এখন সময়ের মানবিক দাবি বলে মনে করছেন তারা।













