কক্সবাজার প্রতিনিধি »
ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে কক্সবাজারের আকাশ হঠাৎ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে গেছে। সকাল থেকে প্রখর রোদ থাকলেও বেলা পৌনে একটার দিকে অকস্মাৎ কালো মেঘে ছেয়ে গেছে পুরো আকাশ। থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিও হচ্ছে।
কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ আবদুল হামিদ মিয়া।
সোমবার (৯ মে) সকাল থেকে প্রখর রোদ ছিল কক্সবাজার জুড়ে। দুপুরে হঠাৎ আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে শুরু হয় হালকা বাতাস। অশনি নিয়ে তেমন প্রচারণা না থাকায় ঘূর্ণিঝড় নিয়ে তেমন আতংক নেই কোথাও। তবে, লবণ মাঠে লবণ তোলা নিয়ে একটু তোড়জোড় করছে চাষীরা।
কক্সবাজার আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ আবদুল হামিদ মিয়া জানিয়েছেন, পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় মাঝারি থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। বর্তমানে কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ২নং দূরবর্তি হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যাচ্ছেন তারা।
কক্সবাজার ট্রলার মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মাস্টার মোস্তাক আহমেদ বলেন, সমুদ্র উত্তাল হওয়ায় অধিকাংশ মাছধরা ট্রলার ঘাটে ফিরেছে। কেউ কেউ সমুদ্রতীরের বিভিন্ন ছোট খালে আশ্রয় নিয়েছে। যারা এখনও ঘূর্ণিঝড়ের সংকেত পায়নি, তাদেরকে সংকেত পৌঁছে সতর্ক করার পাশাপাশি তীরে আনার চেষ্টা চলছে।
কক্সবাজার জেলা রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মো. খোরশেদ আলম ও ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দূর্যোগ পরবর্তী সময়ে করণীয় সম্পর্কে আগাম সকল প্রস্তুতি নিতে রেড ক্রিসেন্টের উপকূলীয় এলাকার টিমগুলোকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।













