২৫ অক্টোবর ২০২৫

দোকানে মিলছে না তেল, গুদামে গুদামে মিলে হাজার লিটার

বাংলাধারা প্রতিবেদক »

সয়াবিন তেলের কৃত্রিম সংকট তৈরির উদ্দেশে তেল মজুদে অসাধু ব্যবসায়ীদের কৌশল থেমে নেই। এতে দোকানেও মিলছে না এই সয়াবিন তেল। যার কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ক্রেতারা। একের পর এক লুকিয়ে রাখা গুদামে অভিযান চালালেও তারা যেন তেলের সংকট তৈরি করে যাচ্ছেই। যেন অভিযানেই মিলছে গুদামে গুদামে ‘সয়াবিনের খনি’। সর্বশেষ চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী বাজারে অবৈধ মজুত করা ১৫ হাজার লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করেছে ভোক্তা অধিকার অধিদফতর।

সোমবার (৯ মে) চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী বাজার এলাকার কয়েকটি গুদামে অভিযান চালিয়ে এসব তেল জব্দ করেছে অধিদফতর টিম।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিকার অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ বলেন, পাহাড়তলী বাজারের সিরাজ স্টোরের তিনটি গোডাউন থেকে ১৫ হাজার লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করা হয়েছে। অভিযান এখনও চলছে। অভিযান শেষে বিস্তারিত বলা হবে।

এর আগে শনিবার (৭ মে) রাতে নগরীর কর্ণফুলী মার্কেটের এক ব্যবসায়ীর গুদামে অভিযান চালিয়ে লুকিয়ে রাখা ১ হাজার ৫০ লিটার ভোজ্য তেল উদ্ধার করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। একইদিন ফটিকছড়িতে শনিবার (৭ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে অভিযান চালিয়ে এক ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে ২ হাজার ৩২৮ লিটার সয়াবিন তেল উদ্ধার করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

অন্যদিকে গত শুক্রবার (৬ মে) বিকেলে অভিযান চালিয়ে খাগড়াছড়ির রামগড়ের সোনাইপুল বাজারে এক ব্যবসায়ীর চারটি গুদামে ৫৭ হাজার লিটার সয়াবিন তেলের অবৈধ মজুদের সন্ধান পেয়েছে প্রশাসন। এসময় দুই সোনাইপুল বাজারের মেসার্স খাঁন ট্রেডার্স নামে ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক ফজলুল করিম পাটোয়ারীকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই অপরাধে ওই বাজারের মেসার্স আলমগীর স্টোরকেও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিকার অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ বলেন, বাজারে কৃত্রিম সংকটকে কাজে লাগিয়ে বেশী মুনাফা আদায়ের উদ্দেশ্যে তেলের বোতলগুলো ঈদের আগেই মজুদ করা হয়েছিল। এছাড়া, দোকানটিতে বেশ কিছু মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য পাওয়ায় দোকানটিকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জব্দকরা তেলগুলো আমাদের উপস্থিতিতেই খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেছেন ওই ব্যবসায়ী।

আরও পড়ুন