বোয়ালখালী প্রতিনিধি »
বোয়ালখালী উপজেলার কড়লডেঙ্গা পাহাড়ি এলাকায় দিন দিন বাড়ছে সন্ত্রাসী তৎপরতা। এতে আতঙ্কে রয়েছেন বাগান মালিক ও শ্রমিকেরা।
গত বৃৃহস্পতিবার (২৬ মে) সকালে কড়লডেঙ্গা চম্পা তালুকদারপাড়া, মৌলভিবাাজার ও পটিয়া এলাকার রোহিঙ্গা শ্রমিকসহ প্রায় ৭০/৮০ জন বাগান শ্রমিক লেবু বাগানে কাজ করতে গেলে ওই শ্রমিকদের জিম্মি ও মারধর করে মোবাইল, নগদ টাকা পয়াসা লুট ও মুক্তিপণ আদায় করে পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা। এদের মধ্যে রোহিঙ্গা শ্রমিকদের ছেড়ে দিলেও স্থানীয় ৮/১০ জনকে আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবি করে তারা।
এ ঘটনায় পুলিশি অভিযান চালানো হলেও দিনভর কোন কুলকিনারা করা যায়নি। সন্ধ্যায় চম্পা তালুকদার পাড়ার ৫ জনের কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায় করে ছেড়ে দেয় সন্ত্রাসীরা।
বোয়ালখালীর চম্পা তালুকদার পাড়ার মুক্তিপণ দিয়ে ছাড় পাওয়া ৫ জন হলেন- আবুল ফয়েজ (৫০), জাহেদুল ইসলাম মানিক (৩২), মো. হাছান (২০), আবুল কালাম (৩৭) ও শেখ জামাল (৩৬)।
তবে মৌলভীবাজার ও তালুকদার পাড়ার বাদশা, অশোক কুমার ও আব্দুল লতিফ নামের তিন শ্রমিকের হদিস পাওয়া না গেলেও ওই রাতে ছেড়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বোয়ালখালী থানার (ওসি) মো. আবদুল করিম।
স্থানীয়রা জানায়, পাহাড়ে বাগান লেবু বাগান মালিক শ্রমিকদের ওপর সন্ত্রাসীদের মারধর, মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে নেওয়া নতুন ঘটনা নয়। গত মাসের ১২ এপ্রিল কড়লডেঙ্গা পাহাড় থেকে ৩২ জন ও জ্যৈষ্টপুরা পাহাড় থেকে ৩ জনকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের পর ছেড়ে দেয় পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা।
তারা বলেন, আমাদের বাড়ি থেকে লেবু বাগানের দূরত্ব প্রায় ৪ কিলোমিটার। পাহাড়ি পথে হেটে যেতে সময় লাগে অন্তত ১ ঘন্টা। এ স্থানের লেবু বাগানে স্থানীয়সহ রোহিঙ্গা শ্রমিকরাও কাজ করে এবং পটিয়ার শ্রমিকও রয়েছেন।
পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শ্রমিক আব্দুল হান্নান জানান, সন্ত্রাসীদের দুইজন মুখ বাঁধা বাকি ৫/৬ জনের মুখ খোলা ছিল। তাদের চেহারা উপজাতীয়দের মতো। তারূ বলেন, আমরা বাগান গেলে হঠাৎ তারা এসে অস্ত্রের মুখে আমাদের জিম্মি করে রশি দিয়ে বেঁধে ফেলে। একে একে সবার কাছ থেকে মোবাইল, টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয়। এরপর পরিচয় জানতে চায়। মারধরের পর আমরা পালিয়ে আসলেও ৮/১০ জনকে তারা বেঁধে রাখে। ওদের কি হয়েছে তা আর জানিনা।
এদিকে বৃহস্পতিবার একাধিক শ্রমিককে একযোগে নিয়ে মারধর ও জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।













