দেবাশীষ বড়ুয়া রাজু, বোয়ালখালী »
জ্যৈষ্ঠের মধুফলের মৌ মৌ গন্ধে ভরে গেছে বাজার। আম, জাম, কাঁঠাল, আনারস, কলা, লিচু, জামরুল, ও কচি তাল বিকিকিনিও হচ্ছে হরদম। চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার মোড়ে মোড়ে দেশিয় ফলের পসরা নিয়ে বসেছেন মৌসুমী ফল ব্যবসায়ীরা। বাজারে এখন দেশি ফলের রাজত্ব।
উপজেলার বাজারগুলোতে দেশিয় ফল আম, জাম, লিচু, কাঁঠাল, আনারস, জামরুল মৌসুমী ফলের সমারোহ। ফলের রসে রসনা তৃপ্তি করতে ক্রেতাদের থলে এখন ভর্তি। পরিবারের সদস্যদের সাথে বসে মুধফল খাওয়ার আনন্দই আলাদা। এসব ফল খেতেও থাকে নানা আয়োজন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ট্রাকে ট্রাকে পাইকারদের কাছ থেকে আসছে আম-কাঁঠাল-লিচু। তেমনি ঘরের গাছে ধরা ফলও বাজারে এনে বিক্রি করছেন অনেকে। এ বছর ১০০শ লিচুর দাম ২০০-২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁঠাল আকার ভেদে দাম ৬০-৪০০ টাকা পর্যন্ত রয়েছে। প্রতি কেজি জাম বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৬০ টাকা কেজি দরে, প্রতি কেজি লটকন বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৫০ টাকা কেজি দরে। আনারস জোড়া ৫০-৬০ টাকা, কেজি প্রতি জামরুল ৫০-৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বাজারে প্রতি পাওয়া যাচ্ছে কচি তাল।
তাল বিক্রেতা জালাল হোসেন জানান, প্রতিটি তাল আকার ভেদে ১২-২০ টাকায় বিক্রি করছেন। আর দুয়েকদিন তাল বাজারে থাকবে।

ফল ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রামের পাবর্ত্য অঞ্চল থেকে আনারস বাজারে আসে। পাইকারিভাবে আনারসের দাম তেমন একটা না থাকলেও পরিবহণ খরচ বেশি পড়ে। এছাড়া পথে পথে চাঁদাও দিতে হয়। ফলে ক্রেতাদের কাছে কম দামে বিক্রির সুযোগ থাকে না।
বাজার ঘুরে মৌসুমী ফল কিনছিলেন মো রবিউল হোসাইন। তিনি জানান, বারোমাসেই দেশিয় ফল পরিবারের সদস্যদের জন্য নিয়ে যায়। বছরের ফল একবার হলেও খেতে হয়। জ্যৈষ্ঠমাসের পাকা ফল কিনছি। তবে বাজােের ফল থাকলেও দাম এখন চড়া রয়েছে।