বাংলাধারা ডেস্ক »
পোশাক শিল্প সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম সম্পাদনে কাস্টমস্ বন্ড ও কাস্টমস্ কর্তৃক আমদানিকৃত পণ্য চালান খালাস ও বন্ডে কার্যক্রম সম্পাদনে বিভিন্ন জটিলতা, হয়রানিসহ অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকরা বলেছেন, করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি উত্তরণের পরবর্তীতে বর্তমানে বিপুল সংখ্যক রপ্তানি আদেশ বিদ্যমান রয়েছে। কিন্তু পোশাক শিল্পের আমদানিকৃত পণ্য চালান খালাসে কাস্টমস্ হাউজ, চট্টগ্রামের নিম্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা বিভিন্ন জটিলতা সৃষ্টি করে শুল্কায়নে বিঘ্ন সৃষ্টি পূর্বক অযথা হয়রানি করে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছে। ফলে পণ্য চালান খালাস বিলম্বে রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২ জুন) বিকাল ৪টায় নগরীর খুলশীস্থ বিজিএমইএ চট্টগ্রাম কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিজিএমইএ’র সদস্যদের এক মতবিনিময় সভায় ক্ষতিগ্রস্ত পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকরা এসব কথা বলেন।
সভায় বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী, বিজিএমইএ’র পরিচালক এমডি.এম. মহিউদ্দিন চৌধুরী, এ.এম. শফিউল করিম (খোকন), মো. হাসান (জ্যাকী), এম. আহসানুল হক, মিরাজ-ই-মোস্তফা কায়সার প্রাক্তন প্রথম সহ-সভাপতি এরশাদ উল্লাহ, নাসিরউদ্দিন চৌধুরী, প্রাক্তন পরিচালক হাসানুজ্জামান চৌধুরী, ফরহাত আব্বাস, লিয়াকত আলী চৌধুরী, অঞ্জন শেখর দাশ, আমজাদ হোসেন চৌধুরী, এনামুল আজিজ চৌধুরী, মোহাম্মদ আতিকসহ বিভিন্ন পোশাক শিল্পের মালিকরা উপস্থিত ছিলেন।
করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত এসব মালিকরা জানান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক পোশাক শিল্পের রপ্তানি আদেশ দ্রুত সম্পাদনে ঢাকায় সাব-কন্ট্রাক্ট করণে বিজিএমইএ’র অনুমোদন প্রদান রহিত করে বন্ড কর্তৃক অনুমোদন প্রদানে কার্যক্রমে জটিলতাসহ দীর্ঘসূত্রিতার সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়াও কাস্টমস্ বন্ড কমিশনারেট কর্তৃক বন্ড লাইসেন্সে সংযোজন, বাৎসরিক নিরীক্ষা অনুমোদন, কারখানা সম্প্রসারণ, পণ্য সংরক্ষণের জন্য অতিরিক্ত গুদাম প্রদান, স্থানীয় কাপড় ব্যবহার করে রপ্তানিতে মূসক আদায়, ক্ষুদ্র ও মাঝারী বন্ধ প্রতিষ্ঠানের বন্ড লাইসেন্স বাতিল সহ বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পাদনে অহেতুক জটিলতা সৃষ্টি, অতিরিক্ত অর্থ আদায় সহ প্রচুর হয়রানি শিকার হয়ে চলমান রপ্তানি আদেশ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না মর্মে অভিযোগ জানান এবং পোশাক শিল্প সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম সম্পাদনে কাস্টমস্ ও বন্ডের বিদ্যমান সমস্যা সমূহ দ্রুত সমাধানে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বিজিএমইএ নেতৃবৃন্দের প্রতি জোর দাবি জানান।
সভায় বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী তৈরি পোশাক শিল্পের অব্যাহত প্রবৃদ্ধি অর্জনে পোশাক শিল্পের গুরুত্ব বিবেচনায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক পোশাক শিল্পের সমস্যা সমূহ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমাধানের নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু কাস্টমস্ ও বন্ডে পোশাক শিল্প সংশ্লিষ্ট বিদ্যমান জটিলতা/সমস্যার কারণে রপ্তানির প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সমস্যা সমূহ দ্রুত সমাধান কল্পে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, কাস্টমস্ ও বন্ডের সহিত দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তিনি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্ঠার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
সভায় পোশাক শিল্পের আমদানী-রপ্তানিতে কাস্টমস্ ও বন্ডের বিরাজমান সমস্যা চিহ্নি তকরণ ও কার্যক্রম সহজীকরণের উপর আরো বক্তব্য রাখেন- বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী, পরিচালক এমডি.এম. মহিউদ্দিন চৌধুরী, প্রাক্তন প্রথম সহ-সভাপতি সর্বজনাব এরশাদ উল্লাহ, নাসিরউদ্দিন চৌধুরী, প্রাক্তন পরিচালক সর্বজনাব ফরহাত আব্বাস, অঞ্জন শেখর দাশ, লিয়াকত আলী চৌধুরী সহ ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন পোশাক শিল্পের মালিকবৃন্দ।













