৮ নভেম্বর ২০২৫

ধর্ষণ চেষ্টায় ব্যবহৃত সেই বাস চুরির কাজে ব্যবহার, গ্রেফতার ২

বাংলাধারা ডেস্ক »

চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া এলাকায় গত ১৯ মে পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছিল সেই বাসটি একাধিক অপরাধে ব্যবহার করে চক্রটি।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ১৯ মে পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণের চেষ্টার পরের দিন ২০ মে ওই বাসটি ব্যবহার করে ছিনতাই করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ জুন) সকালে দুই ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে বন্দর থানা পুলিশ। পুলিশ বলছে, পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার বাস চালক ও হেলপার এবং আজকে আটক দুইজন একই চক্রের সদস্য।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, গিয়াস উদ্দিন নয়ন (২১) ও সীমান্ত দত্ত (২১)।

বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কিশোর মজুমদার গণমাধ্যমকে বলেন, পলাশ নামের এক ভুক্তভোগী নিমতলা বিশ্বরোড যাওয়ার উদ্দেশ্যে ফ্রি পোর্ট থেকে ওই বাসটিতে উঠে। কিন্তু বাসের ড্রাইভার হালিশহর থানার বড়পোল মোড়ে নামিয়ে দিবে বলে বড়পোলের দিকে রওয়ানা দেয়। এসময় বাসের ড্রাইভারসহ যাত্রী বেশে বাসে থাকা অন্য ৩ জন ছিনতাইকারী ভিকটিম পলাশকে ছুরিকাঘাত করে নগদ ১০ হাজার টাকা, ২ মোবাইল এবং বিকাশে থাকা ৪০ হাজার ৮০০ টাকা তুলে নিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, পরে রাত সাড়ে তিনটার দিকে ভিকটিম পলাশকে খুলশী থানার লালখান বাজার ফ্লাইওভারের উপর নামিয়ে দিয়ে তারা পালিয়ে যায়। এই ঘটনার পর ভিকটিম একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর গত ১ জুন বন্দর থানায় এসে পুলিশকে ঘটনাটি জানায়। এই ঘটনায় ভিকটিম পলাশ বাদী হয়ে বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কিশোর মজুমদার আরও বলেন, ভিকটিম পলাশ কান্তি দের অভিযোগ পাওয়ার পর তথ্য প্রযুক্তি ও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে কয়েক ঘণ্টার অভিযান শেষে বৃহস্পতিবার সকালে দুইজনকে চান্দগাঁও এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বাকলিয়া থানা এলাকায় চলন্ত বাসে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় ব্যবহৃত বাসটি এই ছিনতাইয়ের ঘটনায়ও ব্যবহার করা হয়েছে। গাড়িটির নিয়মিত চালক গ্রেপ্তার মো. গিয়াস উদ্দিন নয়ন। তিনি বাসটি রাতে সহযোগী আসামিদের কাছে ভাড়া দিতেন। আর আসামিরা শহরের বিভিন্ন স্থানে চলন্ত বাসে ছিনতাই কার্যক্রম চালাত।

এছাড়া বাসটি দিয়ে ২২ মে রাতেও পাহাড়তলী থানার অলংকার মোড়ে ছিনতাইয়ে ব্যবহার করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ