কক্সবাজার প্রতিনিধি »
অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি পেয়েছেন কক্সবাজার পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান। বৃহস্পতিবার (২ জুন) দ্বিতীয় দফায় পুলিশ সুপার (এসপি) পদমর্যাদার ৭৩ জন কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়ে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) করেছে সরকার। এদের মাঝে পদোন্নতি প্রাপ্ত একজন কক্সবাজারের এসপিও। দেশের ইতিহাসে প্রায় একই সময়ে দুই দফায় পদোন্নতি পেয়ে ১১৯ জন অতিরিক্ত ডিআইজি হবার ঘটনা এটাই প্রথম।
বৃহস্পতি ও মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ শাখা-১ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস।
গত ১১ মে অতিরিক্ত ডিআইজি পদমর্যাদার ৩২ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়ে ডিআইজি করার পর এখন সেই সব শূন্য পদ পূরণ করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার ৪৬ জন পুলিশ সুপারকে অতিরিক্ত উপ-মহা পুলিশ মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) করার আদেশ হয়েছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে।
দু’দিন বাদে আরও ৭৩ জনের পদোন্নতির আদেশ হল। তাতে দুই দফায় পদোন্নতি পেয়ে অতিরিক্ত ডিআইজি হলেন ১১৯ জন। নিকট অতীতে একসঙ্গে এত পদোন্নতি আর হয়নি।
বৃহস্পতিবার পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. হাসানুজ্জামানও। তিনি বিতর্কিত ওসি প্রদীপ কান্ডে জেলার সকল পুলিশ সদস্যকে একযোগে বদলে ফেলার পর নতুন আসা টিমের এসপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। প্রদীপ-লিয়াকতের হাতে নির্মম হত্যার স্বীকার অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যার বিচার কার্য সম্পন্ন তিনি পরিচ্ছন্ন ভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন। পাশাপাশি সম্পূর্ণ নতুন টিম নিয়ে জেলার শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ভূমিকা রাখছেন তিনি। যদিও বিচ্ছিন্ন ভাবে বেশ কিছু হত্যাকাণ্ড, ছিনতাইসহ কয়েকটি ঘটনা শৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এরপরও কক্সবাজারের এসপি হাসানুজ্জামান অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি পাওয়ায় তাকে জেলার পুলিশ বিভাগের পাশাপাশি স্থানীয় নানা পেশাজীবি সংগঠন অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছে।
একই তারিখে (২ জুন) তিন ভাগে করা প্রজ্ঞাপনে ৩৭ জন, ৩০ জন এবং আরেকটাতে ৬ জনকে পদোন্নতি দেয়া হয়। এতে বলা হয়, বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের এই ৭৩ জন কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) পদে পদোন্নতি করা হলো।













