৭ নভেম্বর ২০২৫

চবি কেন্দ্রে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন

চবি প্রতিনিধি »

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ক্যাম্পাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন ইউনিট ভিত্তিক ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) ভর্তি প্রার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে।

শুক্রবার (৩ জুন) বেলা ১১টায় শুরু হয়ে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়। ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় চবি কেন্দ্রে অংশগ্রহণ করেন ৩ হাজার ৯৮৬ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ৩ হাজার ৯১৯ জন। উপস্থিতির হার ৯৮ দশমিক ৩২ শতাংশ। অনুপস্থিত ছিলেন ৬৭ জন।

এছাড়া আগামী ০৪ জুন ‘খ’ ইউনিট, ১০ জুন ‘ক’ ইউনিট, ১১ জুন ‘ঘ’ ইউনিট এবং ১৭ জুন ‘চ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা দ্বিতীয় বারের মতো বিভাগীয় শহরের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় উপকেন্দ্রে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।

বেলা সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার এবং উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে ভর্তি পরীক্ষার হলসমূহ পরিদর্শন করেন।

ভর্তি পরীক্ষার হল পরিদর্শনের পর চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, আমাদের কেন্দ্রে প্রায় চার হাজারের মতো শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছে।আমরা খুব সুন্দরভাবে আনন্দঘন পরিবেশে পরীক্ষা হতে দেখছি। কোন প্রশ্ন ফাঁসের খবর বা জালিয়াতের কোন খবর আসে নাই। আল্লাহর রহমতে প্রতিষ্ঠার ৫০ বছরে কোন প্রশ্ন ফাঁসের কোন ঘটনা শুনিনি; এসবের আশাও করি না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, ভর্তি পরীক্ষা ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। প্রথম দিনের ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

ভর্তি পরীক্ষার্থী সিফাত জামান বলেন, শাটল সুবিধার জন্য যাতায়াতে কোনো সমস্যা হয়নি। নৈর্ব্যক্তিক পরিক্ষা ভালো হয়েছে। কিন্তু লিখত পরীক্ষা ভালো হয় নি। সময়ের মধ্যে ঠিক ভাবে উত্তর দিতে পারে নি। ক্যালকুলেটর নেওয়ার অনুমতি না থাকলেও অ্যাকাউন্টিংয়ে ম্যাথ রিলেটেড প্রশ্ন বেশি থাকায় সমস্যায় পড়তে হয়েছে’।

আবুল ফজল নামে এক ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, ‘ঢাকার পরিবর্তে স্থানীয় শহরে পরীক্ষা হওয়ায় অনেক সুবিধা হচ্ছে। সময় যেমন বাঁচছে তেমনি ভোগান্তিও কমেছে। সার্বিক ব্যবস্থাপনাও খুব ভালো।’

প্রসঙ্গত, গত দুই বছর ধরে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা হচ্ছে নৈর্ব্যক্তিক (MCQ) এবং লিখিত উভয় পদ্ধতিতে। ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় ৬০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক এবং ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা দিতে হয় ভর্তিচ্ছুদের। তবে নৈর্ব্যক্তিক এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য শিক্ষার্থীরা সময় পান ৪৫ মিনিট করে মোট ৯০ মিনিট। শুধুমাত্র নৈর্ব্যক্তিক পদ্ধতিতে থেকে বেরিয়ে লিখিত এবং নৈর্ব্যক্তিক উভয় পদ্ধতির পরীক্ষা চালু করায় গত দুই বছরও দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

বাংলাধারা/এসএস

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ