২৯ অক্টোবর ২০২৫

সীতাকুন্ডের পাহাড় চূঁড়ায়  চন্দ্রনাথধাম

নির্মল প্রকৃতির হাতছানি

সনাতন ধর্মীয় তীর্থস্থান 

মাকসুদ আহম্মদ, বিশেষ প্রতিবেদক

পাহাড়ঘেরা সবুজ বনানী। এরই মাঝে আবার পাহাড়ী সরু ঝর্ণা আগতেদের মাঝে আনন্দ বিলিয়ে দিয়ে যেন আকর্ষণ বাড়াচ্ছে। শত শত পাহাড়ের সীতাকুন্ডে এ্যাডভেঞ্চারা জমজমাট বনভোজনেরও আয়োজন করে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সনাতনীরা ছুটে আসে  পূজা আর পার্বণে। শুধু তাই নয় বনভোজনের জন্যও অনেক পর্যটক আসেন। শেষ পর্যন্ত গেট টুগেদার করতে সীতাকুন্ডের চন্দ্রনাথ পাহাড়ের পাদদেশে এসে দুপুরের খাবারের আয়োজন চলে লাকড়ীর চুঁলোয়। দূর দুরান্ত থেকে আসা পর্যটকদের সারাদিন কাটে পাহাড়ে  গান আর কৌতুকের মধ্য দিয়ে।

সীতাকুন্ডের চন্দ্রনাথ পাহাড় যেন পাহাড়ের উপর পাহাড়। পর্যটকদের মন কাড়তে পাহাড়ঘেরা সবুজ প্রকৃতি ছাড়া আর কিছুই নেই। তবে সরকারেরও কোন উদ্যোগ নেই এই পর্যটন স্পটকে ঘিরে। প্রকৃতি তার ইচ্ছায় গড়ে উঠেছে বললে বেশী বলা হবে না। পৃথিবীর বুকে হিন্দুদের ১৫তম শীর্ষস্থানীয় পুণ্যভূমি হিসেবে খ্যাত চন্দ্রনাথ পাহাড়। প্রায় হাজার ফুট উচ্চতায় রয়েছে চন্দ্রনাথ ধাম। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তথা ভারতসহ পূজা-পার্বণ ছাড়া সেখানে তেমন একটা লোক সমাগম হয়না বছরের অন্য সময়গুলোতে। ফলে নিরাপত্তাহীনতায় ভেগে অনেকেই।

তবে বিভিন্ন সময়ে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত দলছুট পরিবার  ছুটে যায়  সীতাকুন্ডের প্রকৃতি দেখতে। বনভোজনের আয়োজনটা যখন পর্যটন স্পটকে ঘিরে তখন ছাড় দেয় কে। যাবেনা যাবেনা বলেও বাসে বা ট্রেনে চলে যায় নারী পুরুষেরন  দল। আনন্দধারা বয়ে চলে বাস ছাড়ার পর থেকেই। সীতাকুন্ডের এ পর্যটন স্পটকে ঘিরে আনন্দঘন দিন কাটে সর্বক্ষণ।

বনভোজন এখন আর বনে বাদাড়ে হয় না। প্রকৃতি বাদ দিয়ে কৃত্রিমতার দিকে ঝুঁকছে সবাই। পাহাড় ঘেরা সবুজ বনানী বাদ দিয়ে সাজানো গোছানো পরিপাটি অনেকটা ফয়’স লেকের মত স্পটকে ঘিরেই প্যাকেজ পিকনিক চলে আসছে যুগেরও বেশী সময় ধরে। তবুও যারা প্রকৃতির সঙ্গে মিশতে চায় তারা ছুটে চলে দুরদুরান্তে। তাই বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা সফরের নামে চলে পিকনিকের ঘটনা।

বিভিন্ন সময়ে নবাগতের দল কয়েকভাগে বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন দিকে ছুটে চলে। দুপুরের সূর্যটা তখন ঠিক মাথার ওপর। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সীতাকুন্ড থানার ওসির পক্ষ থেকে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। অনেক সময় পেয়ারা বাগানে পিকনিকের আয়োজন হলেও খোলা মাঠেই থাকে রান্নার ঢামাঢোল। বাহিরের কোন শিল্পী নয় গানে গানে মাতোয়ারা থাকে আগতরা।

আগতদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ  উঠে এসেছে, এলাকার উন্নয়নে ও চন্দ্রনাথ পাহাড়ে আরোহনের সিড়িগুলো মেরামতের ব্যবস্থা করা হলে আগতেদের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাবে। হিন্দু ধর্মীয়রা ছাড়াও দেশী বিদেশী পর্যটকরা সুবিধা বঞ্চিত হত না। ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে চন্দ্রনাথ পাহাড় পর্যন্ত সরু রাস্তাটি দ্বিগুন প্রশস্থ করার আহবান জানানো হয়। কিন্তু কাজে আসছে না।

আরও পড়ুন