১২ নভেম্বর ২০২৫

গভীর রাতে ‘রক্তের ডাকে’ সাড়া দিলেন চবি শিক্ষার্থীরা

চবি প্রতিনিধি »

সীতাকুণ্ড উপজেলার বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে আহতদের রক্ত ​​দিতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (সিএমসিএইচ) ছুটে গেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

রোববার (৫ জুন) রাত ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট থেকে বাসে করে শতাধিক শিক্ষার্থীরা হাসপাতালে রক্ত দিতে যায়। রাতের বেলা পর্যাপ্ত যাতায়াত সুবিধার অভাবে আরও পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী যেতে পারেনি।

শিক্ষার্থীদের বহনকারী দুটি বাস সিএমএইচে পৌঁছে। এর আগে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আহতদের জন্য রক্তদানের অনুরোধ জানিয়ে সাহায্যের জন্য একটি কল পাঠিয়েছিল। এছাড়া চবি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে রক্তদানের আহ্বান জানানো হয়।

চবির ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. শহীদুল ইসলাম বলেন, চমেক কর্তৃপক্ষ রক্তের প্রয়োজন জানালে আমরা সঙ্গে সঙ্গে রাত ২টার দিকে দুটি বাস ঠিক করে দেই। যাতে শিক্ষার্থীরা মেডিকেল গিয়ে অগ্নিদগ্ধদের পাশে দাঁড়িয়ে মানবতার দৃষ্টান্ত হতে পারে।

সীতাকুণ্ড উপজেলার বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ও পরবর্তী বিস্ফোরণে শত শত দগ্ধ ও আহতদের হাসপাতালের বিভিন্ন ইউনিটে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জেলা সিভিল সার্জন ইলিয়াস হোসেন জানিয়েছিলেন।

জরুরি বিভাগ, বার্ন ইউনিট, সার্জারি ইউনিটসহ অন্যান্য সব ইউনিটকে এখন অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধদের সেবায় নিয়োজিত করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যসহ দুই শতাধিক মানুষ দগ্ধ হয়েছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফায়ার সার্ভিসের ৫ কর্মীসহ ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

আগুন নেভাতে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট। ধারণা করা হচ্ছে এই আগুন লেগেছে রাসায়নিকের কন্টেইনার বিস্ফোরণ থেকে। এর শব্দ শোনা গেছে চার কিলোমিটার দূর থেকেও, এতে ভেঙে পড়েছে আশপাশের ভবনের কাচ।

শনিবার রাতে সীতাকুণ্ডের শীতলপুরে বিএম কনটেইনার ডিপোতে লাগে আগুন। পরে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে কন্টেইনার থেকে কন্টেইনারে। এসবে রাসায়নিক থাকায় পর্যায়ে প্রচণ্ড শব্দে হয় বিস্ফোরণ।

বাংলাধারা/এসএস

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ