নীলাভ মাহমুদ»
সীতাকুন্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ছে পুরো এলাকাজুড়ে। রাসায়নিক পদার্থ নালা দিয়ে গড়িয়ে সমুদ্রে পৌঁছে যাওয়া রোধে কাজ করছে ১৫০-২০০ সেনা সদস্য।
রোববার (৫ জুন) দুপুর থেকে সেনাবাহিনীর একটি অংশ রাসায়নিক পদার্থ ছড়িয়ে পড়া রোধে কাজ করছেন। রাসায়নিক পদার্থ সমুদ্রে ছড়িয়ে পড়লে পরিবেশ মারাত্বক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে পারে।
রাসায়নিক পদার্থ সমুদ্রে মিশে যাওয়ার সম্ভবনা আছে এমন দুটি নালা থাকলেও এখন পর্যন্ত শুধুমাত্র একটিতে ক্যামিক্যাল পাওয়া গেছে এবং তা প্রতিরোধ করা হয়েছে। পাশাপাশি ক্যামিক্যাল ছড়িয়ে পড়া রোধে কড়া নজরদারি রাখা হচ্ছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম সেনানিবাসের ইঞ্জিনিয়ারিং কোর-১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মনিরা সুলতানা।
এখন পযর্ন্ত বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুনের পর ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩ জন হয়েছে। তাদের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের কর্মী রয়েছেন ৯জন। বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন আরও চার শতাধিক। তাদের মধ্যে ডিপোর শ্রমিক, স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরাও রয়েছেন।
প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী, পানি, খাদ্য সামগ্রী নিয়ে সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছে অনেকেই। এই সংকট মোকাবিলায় চট্টগ্রাম জুড়ে কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবক নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।













