কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং-শামলাপুর সড়কের ঢালায় ও বিয়ে বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ডাকাত সরদার আবু হুরাইরাসহ তিনজন জনকে আটক করেছে র্যাব-১৫ ।
বুধবার (২৯ জুন) দিনগত রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার (৩০জুন) দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ে কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর সিপিএসসি কমান্ডার এএসপি জামিলুল হক এ তথ্য জানিয়েছেন।
আটকরা হলো- টেকনাফ বাহারছড়া ইউনিয়নের উত্তর শীলখালীর মৌলভী মকসুদুর রহমানের ছেলে ডাকাত সরদার হিসেবে পরিচিত আবু হুরাইরা মোহাম্মদ (২৬), একই এলাকার মৃত নুরুল কবিরের ছেলে মোরশেদ আলম (২১) ও ঝুপপাড়া এলাকার হায়দার আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম (৩৮)।
এসময় তাদের কাছ থেকে ৬ টি আগ্নেয়াস্ত্র, মোবাইল ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে ।
কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর সিপিএসসি কমান্ডার এএসপি জামিলুল হক জানান, টেকনাফের হোয়াইক্যং-শামলাপুর সড়কের ঢালার ভেতর সঙ্ঘবদ্ধ ডাকাতচক্র রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে বিভিন্ন যানবাহন থামিয়ে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, মোবাইলসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে। একইভাবে স্থানীয় এক বিয়ে বাড়িতেও ডাকাতির ঘটনা ঘটায় দুর্বৃত্তদল।
এ দুই ডাকাতির ঘটনায় অজ্ঞাত আসামী করে টেকনাফ মডেল থানায় মামলা হয়। এ ঘটনায় সাকিল (২০), আমানউল্লাহ (২৪) , মো.আরাফাত ( ২৭ ), মো. সাকিব হাসান (২৪), নুরুল আমীন (২৫), আইয়েছ ওরফে আজিজ (২২)কে র্যাব আটক করে ।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছিল তারা। তাদের দেওয়া তথ্যে ডাকাত চক্রের মূল হোতা ডাকাত সরদার আবু হুরাইরা, মোরশেদ ও নুরুল ইসলামের কথা উঠে আসে। সেই মতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
সেই স্বীকারোক্তি মতে, টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড হাজমপাড়া এলাকার ঝাউবাগানের ভিতরে মাটির নিচে পুতে রাখা অবস্থায় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ২টি এসবিবিএল, ২টি থ্রিকোয়ার্টারগান, ২টি দেশীয় পিস্তল, এক রাউন্ড গুলি ও ডাকাতিকৃত ৮টি মোবাইল উদ্ধার করা হয় ।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান জানান, র্যাব কতৃর্ক আটককৃত তিন ডাকাতের বিরুদ্ধে টেকনাফ মডেল থানায় ডাকাতি ও অস্ত্র মামলা রয়েছে এবং হোয়াইক্যং-শামলাপুর সড়কের ঢালার ভিতর ও বিয়ে বাড়িতে ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিলেছে। তারা এলাকার চিহ্নিত ডাকাত।













