১০ নভেম্বর ২০২৫

‘তৈরি পোশাক শিল্পে দক্ষ শ্রম ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে উন্নত কর্মপরিবেশ বজায় রাখা জরুরি’

বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, পোশাক শিল্প একটি শ্রমঘন শিল্প, যার ৮০% দেশের প্রান্তিক গোষ্ঠী থেকে উঠে আসা অবহেলিত নারী। এ’শিল্পের মাধ্যমে এদের আর্থ-সামাজিক অবস্থান পরির্বতন হয়েছে, ক্ষমতায়ন হয়েছে, কর্মসংস্থান হয়েছে, সর্বোপরি দেশের শিল্পায়নে যুগান্তকারী অবদান রাখছে। তবে শ্রমঘন হওয়ায় এ’শিল্পে মাঝে মাঝে অসন্তোষ সৃষ্টির পাঁয়তার হয়। দেশি বিদেশি নানামুখী ষড়যন্ত্রের কারণে এ’শিল্পের সুনাম ক্ষুন্ন হয়।

বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) বিকালে নগরীর খুলশীস্থ বিজিএমইএ ভবনে চট্টগ্রামে BGMEA-ILO এর যৌথ প্রকল্পের অধীনে তৈরি পোশাক শিল্পের Social Dialogue and Industrial Relations (SDIR) এর উপর ২ দিন ব্যাপী দুই ব্যাচের প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সমাপ্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী ও বিজিএমইএ’র পরিচালক এম. আহসানুল হক। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ কর্মকর্তা, প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষণার্থীবৃন্দ।

তিনি আরও বলেন- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ’শিল্পের প্রতি অত্যন্ত আন্তরিক। করোনাকালীন সময়ে বিশেষ প্রণোদনা ও নীতি সহায়তা দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ’শিল্পের প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে সহায়তা করেছেন। এ’জন্য তিনি বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। সরকার ও বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার সহায়তায় তৈরি পোশাক শিল্পে দক্ষতা, উৎপাদনশীলতা ও শ্রমিক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মান উন্নয়নে বিজিএমইএ সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালায় মর্মে তিনি উল্লেখ করেন।

উল্লেখ্য এ’সেশনে চট্টগ্রামের ১৭টি গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানের ৬৫ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেন। বিজিএমইএ সূচনা লগ্ন থেকে এ’সেক্টরকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য নিরাপদ ও টেকসই কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকল্পে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে আসছে।

আরও পড়ুন