৭ নভেম্বর ২০২৫

কাউন্সিলর আমিনের পুত্রবধূর রহস্যজনক মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা

বাংলাধারা প্রতিবেদক »

পুত্রবধূকে নির্যাতন করে পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১২নং সরাইপাড়া ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুল আমিনের পরিবারের বিরুদ্ধে।

শনিবার (২ জুলাই) সকাল ১০টায় পাহাড়তলী থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

মৃত রেহনুমা ফেরদৌসের (২৫) ২ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তিনি চসিকের আরেক প্রয়াত কাউন্সিলর ও নগর আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা তারেক সোলায়মান সেলিমের ভাই তারেক ইমতিয়াজের মেয়ে।

রেহনুমাকে নির্যাতন পরবর্তী হত্যার এই অভিযোগটি তুলেছেন পিতা তারেক ইমতিয়াজ। তার অভিযোগ, কাউন্সিলর আমিনের স্ত্রী ও পুত্র নওশাদুল আমিনের নির্যাতনে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

পিতা তারেক ইমতিয়াজ বলেন, ‘এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। ঘটনা ধামাচাপা দিতে তারা আত্মহত্যার গল্প সাজিয়েছে। তারা বলছে আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু আমরা মেয়ের লাশ পেয়েছি বিছানায়। এছাড়া ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করলে জিহ্বা ও চোখ বাইরে বেরিয়ে আসার কথা। কিন্তু আমার মেয়ের জিহ্বা ছিল স্বাভাবিক। আর চোখ একেবারেই বন্ধ ছিল। নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে তারা এসব বলছে।’

হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ এনে কাউন্সিলর নুরুল আমিন, তার স্ত্রী ও পুত্রের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা এবং নারী নির্যাতন মামলা করবেন বলে জানান তিনি।

পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, গৃহবধূ রেহনুমা ফেরদৌস ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন বলে থানায় খবর দিয়েছে তার শ্বশুর পক্ষ। আমরা গিয়ে শোয়া অবস্থা থেকে তার লাশ উদ্ধার করেছি। কেউ বাদি হয়ে মামলা করলে আমরা তদন্ত করে দেখবো এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যাকাণ্ড।

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ