বান্দরবান প্রতিনিধি »
বান্দরবান সদর উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়নের পার্বত্য জেলা পরিষদের টোল পয়েন্টের বিরুদ্ধের অতিরিক্ত টাকা আটা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ উঠেছে, প্রত্যেক কাচামালের দেড় টন গাড়ির মূল্য চার্টে ১৫০ টাকা দেওয়া থাকলেও কর্তৃপক্ষ আদায় করছে ১৫০০ টাকা। আবার ৩ টনের ট্রাকের কাচামালের গাড়ি চার্টের দেওয়া আছে ৩০০ টাকা, আদায় করছে ২০০০ হাজার টাকা। শুধু তাই নয়, প্রতি ট্রাকে একটি গরুর দাম দেওয়া আছে ১৫০ টাকা হলেও আদায় করছে ৫০০ টাকা।
কাচাঁমালের ট্রাক চালক মো. হাসান বলেন, ‘টোল চার্টের চেয়ে বেশি টাকা নিচ্ছে। টাকা না দিলে মারতে আসে। এমনকি আমাকে গালাগালি ও গাড়ি বন্ধ রাখার হুমকি দেন।’
কাচামালের ব্যবসায়ী হানিফ বলেন, ‘আমাদের গাড়ি সন্ধ্যায় হলে লোড হয়ে বিভিন্ন স্থানের কাচামাল যায়। সেই ট্রাকের ভর্তি কাচামালের নির্ধারিত টাকা না নিয়ে অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে। এ বিষয়ে কিছু বললে গালাগালি ও খারাপ আচরণ করেন আমাদের সাথে। যদি লিস্ট অনুযায়ী টোল নেয় তাহলে আমাদের কোন সমস্যা নেই।’
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত প্রায় আড়াই ঘণ্টা আন্দোলন করে গাড়ি বন্ধ করে রাখে কাচামালের ব্যবসায়ী ও ট্রাক চালকরা। টোল পয়েন্টের দ্বায়িত্বরত প্রত্যেক গাড়ি থেকে টাকা বেশি নেওয়ার কারণের কর্তৃপক্ষের সাথে ব্যবসায়ীদের মাঝে শুরু হয় বাকবিতণ্ডা। এক পর্যায়ে বেশি টোল আদায় নেওয়ার কারণে শুরু হয় তর্কবিতর্ক। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়নন্ত্রণে নিয়ে আসে।
এদিকে পার্বত্য জেলা বান্দরবান হতে কাচামালের রপ্তানিযোগ্য বিভিন্ন দ্রব্যাদির উপর টোলের নির্ধারিত হার দিলেও সেটি অতিরিক্ত টাকা আদায় করছেন বলে অভিযোগ করেন ওই ব্যবসায়ী ও ট্রাক চালক। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন দ্রব্যাদির উপর টোলের নির্ধারিত হার কর্তৃপক্ষের কোন সাইনবোর্ড দেখা যায়নি। অন্যদিকে চার্টের টোলের দাম দেওয়া থাকলেও সেটি বেশি করে আদায় করছে টোলের কর্তৃপক্ষ। তাদের দেওয়ার অতিরিক্ত টোলের টাকা না দিলে খারাপ ব্যবহার, অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি ও অপব্যবহার করে টোল পয়েন্টের থাকার টোল আদায়কারীরা।
জেলা পরিষদ টোল পয়েন্টের টাকা আদায়কারী আতিকুর রহমান বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘চার্টের অনুযায়ী টাকার আদায় করা হচ্ছে। কোন ধরনের অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে না।’ তাছাড়া ট্রাক চালকদের সাথে অপব্যবহার কথা তিনি অস্বীকার করেছেন।
জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের টোল পয়েন্টের ২০২২-২৩ অর্থ বছরের ১৬ জুন লিজটি নিলাম হয় ১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। নিলামের লিজটি ঠিকাদার লাইসেন্স শশাংমং মারমা নেন ৪ জুন।
টোল পয়েন্টের শেয়ারদার সাইফুল বলেন, ঘটনার ব্যাপারে আমরা খুব লাঞ্চিত। এ ব্যপারে নিউজ না করা অনুরোধ করে তিনি।
বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা উচিংমং মারমা জানান, টোল আদায়কারীদের কার্যাদেশ দেওয়া হয়নি। তবে মৌখিকভাবে অনুমতি দেওয়া হয়েছে এবং একটি নির্ধারিত মূল্য তালিকা দেওয়া হয়েছে। কোনভাবেই তারা মূল্য তালিকার বেশি নিতে পারবেন না।













