১১ নভেম্বর ২০২৫

কক্সবাজারে শিশুকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের দায়ে ৩ জনের যাবজ্জীবন

কক্সবাজার প্রতিনিধি »

কক্সবাজার টেকনাফের লেদায় নারী শিশু গণধর্ষণ মামলায় ৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) বেলা ১টার দিকে কক্সবাজারের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক (জেলা জজ) মো. আব্দুর রহিম এ রায় প্রদান করেন।

পাশাপাশি প্রত্যেক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো— টেকনাফের হ্নীলার লেদা এলাকার আবদুস সালামের ছেলে নুরুল আলম (পলাতক), জালাল আহমদের ছেলে হেলাল উদ্দীন (পলাতক) ও মুহাম্মদ কলিমের ছেলে মমতাজ মিয়া (পলাতক)। অপর এক আসামি নুর মোহাম্মদ মৃত্যুবরণ করায় তাকে মামলার দায় হতে অব্যাহতি দেন আদালত।

আসামিরা পূর্বে আদালতে হাজির থাকলেও রায় প্রচারের দিন অনুপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট একরামুল হুদা তথ্যটি নিশ্চিত করেন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০০৩ সালের ৫ এপ্রিল বিকাল ৩ টার দিকে টেকনাফের লেদা এলাকার পাহাড় থেকে ভিকটিম শিশু লাকড়ি কুড়িয়ে বাড়ি ফেরার পথে আসামিরা তার পথ গতিরোধ করে পাহাড়ের নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরে পথচারীরা ভিকটিমকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে মামলা করেন। ২০০৩ সালের ১ জুলাই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন টেকনাফ থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নুরুল ইসলাম। পরে মামলাটি নারী শিশু মামলা ১১৯১/২০১৮ মূলে বিচার কার্য শুরু হলে রাষ্ট্রপক্ষ সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রদানকালে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা সাক্ষীদের জেরা করেন। এরপর মেডিকেল রিপোর্ট যাচাই, আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ, যুক্তিতর্কসহ সকল আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে মামলাটি মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) রায়ের জন্য দিন ধার্য্য করেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ কক্সবাজার এর বিচারক (জেলা জজ) মো. আব্দুর রহিম পূর্ব নির্ধারিত ধার্য্য তারিখ মঙ্গলবার আদালতে রায় প্রচার করেন। আসামিরা বর্তমানে পলাতক রয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট একরামুল হুদা। আসামিদের পক্ষে সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট নুরুল মোস্তফা মানিক ও শাহ আলম বাবুল মামলাটি পরিচালনা করেন।

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে রাষ্ট্রপক্ষের কৌসলি স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট একরামুল হুদা বলেন, এ রায়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে। এ রায়ে প্রমাণিত হয় কোন অপরাধী অপরাধ করে পার পায় না। মামলার রায়ে তিনি সন্তুষ্ট।

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ