বাংলাধারা প্রতিবেদক»
কক্সবাজারের টেকনাফ মডেল থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতি ও ঘুষের মাধ্যমে সম্পত্তির পাহাড় গড়ে তোলেন। পরবর্তীতে এসব অবৈধ সম্পত্তিকে বৈধ করার জন্য বেছে নেন তার স্ত্রীকে। তাকে বানিয়েছিলেন ‘মৎস্য ব্যবসায়ী’ ও ‘কমিশন ব্যবসায়ী’। কিন্তু তাতেও শেষ পর্যন্ত রক্ষা হলো না তার।
ওসি প্রদীপকে ২০ বছর ও তার স্ত্রী চুমকি কারনকে ২১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এছাড়াও প্রদীপের স্ত্রীকে ৪ কোটি ১১ লাখ ১০ হাজার টাকা এবং প্রদীপকে ৪ কোটি ১০ লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বুধবার (২৭ জুলাই) সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্পেশাল জজ মুন্সী আবদুল মজিদের আদালতে বিভিন্ন ধারা ও মেয়াদে এ রায় ঘোষণা করা হয়।
ওসি প্রদীপের স্ত্রী চুমকি কারনের নিজস্ব কোনও আয়-উপার্জন ছিক না। কিন্তু তা সত্ত্বেও প্রদীপ কুমার দাশের অবৈধ উপার্জনকে ‘বৈধ’ করার কৌশল হিসাবে মৎস্য ব্যবসায়ী ও কমিশন ব্যবসায়ী হিসাবে দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে।—এমন তথ্য উঠে এসেছে দুদকের তদন্ত ও সাক্ষ্যে।
এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ জানিয়ে রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হক বলেন, ‘প্রদীপ এবং তার স্ত্রীর জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে মানি লন্ডারিং করেছেন। এসকল অভিযোগে মোট ৪টি ধারায় তার বিরুদ্ধে চার্জ হয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সাক্ষ্যপ্রমাণসহ আদালতে সেটি প্রমাণ করতে পেরেছি। সবমিলিয়ে আসামি চুমকি কারণকে ২১ বছরের কারাদণ্ডসহ ৪ কোটি টাকার অধিক অর্থদণ্ড এবং ওসি প্রদীপ কুমারকে ২০ বছরের কারাদণ্ড এবং তার সম্পদ বাজেয়াপ্তের রায় দিয়েছে আদালত।’
এদিকে রায়ে অসন্তু প্রকাশ জানিয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা বলেন আসামী পক্ষের আইনজীবী। তিনি বলেন, ‘মামলায় ২৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৪ জনকে উপস্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে ২২ জন সাক্ষী ফরমাল উইটনেস। এরা শুধু ইনকাম ট্যাক্সের কপিগুলো নিয়েছে আর জমা দিয়েছে। এরা মামলার ঘটনা সম্পর্কে কোনকিছুই জানেনা। কোর্ট যে রায় দিয়েছে আমরা সে রায়ের কপিটা পেয়ে আমরা অসন্তুষ্ট এ রায়ে। আমরা উচ্চতর আদালতে এর বিরুদ্ধে আপিল করব।’
এর আগে ২০২০ সালের ২৩ আগষ্ট প্রদীপ ও তার স্ত্রী চুমকির বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলাটি করা হয়। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন এ মামলা করেন।
বাংলাধারা/এমআরও













