২৮ অক্টোবর ২০২৫

মিরসরাইয়ে ট্রেন দুর্ঘটনা: কারণ জানতে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি

বাংলাধারা প্রতিবেদক»

মিরসরাইয়ে মাইক্রোবাস-ট্রেন সংঘর্ষে ১১ জনের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার (২৯ জুলাই) দুপুরে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনছার আলীকে প্রধান করে এ কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন—বিভাগীয় নির্বাহী প্রকৌশলী-১ আবদুল হামিদ, বিভাগীয় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার (লোকো) জাহিদ হাসান, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর কমান্ড্যান্ট রেজানুর রহমান এবং বিভাগীয় মেডিক্যাল অফিসার (ডিএমও) মো. আনোয়ার হোসেন।

রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনছার আলী বলেন, ‘এ ঘটনা কেন ঘটেছে এবং এ কার দায় রয়েছে তা জানতে এ কমিটি কাজ করবে। কমিটিকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কারণ অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ট্রেনটি যখন বড়তাকিয়া অতিক্রম করছিল তখন মাইক্রোবাসটি লাইনে উঠে যায়৷ এসময় ট্রেনের ইঞ্জিনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসটি দুমড়েমুচড়ে যায়। চেষ্টা করছি ৩-৪ দিনের মধ্যেই প্রতিবেদন দাখিল করতে।’

এর আগে দুপুর ২টার দিকে মিরসরাইয়ের বড়তাকিয়ায় মহানগর প্রভাতী ট্রেনের সঙ্গে মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে ১১ পর্যটক নিহত হন। তারা সবাই খৈয়াছড়া ঝরনায় বেড়াতে যাচ্ছিলেন।

জানা গেছে, মাইক্রোবাসে থাকা সবাই হাটহাজারী উপজেলা আমানবাজার এলাকার বাসিন্দা। তারা সবাই আরএনজে কোচিং সেন্টারের শিক্ষক-শিক্ষার্থী।

ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী মহানগর প্রভাতী শুক্রবার মিরসরাইয়ের বার তাকিয়া স্টেশনে ঢোকার মুখে খৈয়াছড়াগামী একটি পর্যটকবাহী মাইক্রোবাস লেভেল ক্রসিংয়ে উঠে পড়ে। তখন ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই ১১ জনের মৃত্যু হয়।

মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিনহাজুর রহমান জানান, হাটহাজারী থেকে আসা ওই মাইক্রোবাসে মোট ১৪ জন ছিলেন। খৈয়াছড়ায় বেড়াতে যাচ্ছিলেন তারা। তাদের মধ্যে ১১ জন ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন।

আরও পড়ুন