বাংলাধারা প্রতিবেদক»
সোমবার রাত সাড়ে ১২টা ১০ মিনিট। নগরের ইপিজেডের আকমল আলী রোড মোড়ে দেখা যায় কিছু মানুষের জটলা। তাদের কারও হাতে বালতি, কারও হাতে বোতল। আবার কেউবা এসেছেন পলিথিন নিয়ে৷ একটি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার ফুটো হয়ে পড়ছে তেল জাতীয় কিছু, আর সেই তরল সংগ্রহেই ঝাঁপিয়ে পড়েছেন সবাই।
সামনে গিয়ে দেখা যায়, বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারের নিচ থেকে ঝড়ে পড়ছে তেল। কার আগে কে তেল সংগ্রহ করবে সেই প্রতিযোগিতায় যেন সবাই ব্যস্ত।
রিকশা থামিয়ে সেই তেল পলিথিনে সংগ্রহ করছিলেন রাসেল মিয়া। তেল সংগ্রহের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এই তেল ব্যাথা নাশকের জন্য খুবই ভাল কাজে দেয়।’
স্থানীয় এক মুরব্বির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অনেকদিন ধরেই বাতের ব্যাথায় ভুগছি। এই তেল দিয়ে মালিশ করলে বাতের ব্যাথা ভাল হয় বলে শুনেছি। এখন কথা বলার সময় নাই, তেল নিয়ে নিই।’
ইমন নামে এক কলেজ ছাত্রকেও এসময় গাড়ি থামিয়ে তেল নিতে দেখা যায়। তিনি বলেন, ‘কয়েকদিন আগে বাইক এক্সিডেন্ট করে কোমড়ে ব্যাথা পেয়েছি। এই তেল মাখলে সেই ব্যাথা কমবে বলে শুনেছি মুরব্বিদের কাছে। খবর পেয়ে মোটরসাইকেল চালিয়েই ছুটে এলাম তেল নিতে।’
মঞ্জুর আলম নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘বাজারে এক বোতল তেলের দাম ৯০-১০০ টাকা। এখন এই তেল যদি একটু কষ্ট করে বিনামূল্যে পাওয়া যায় সমস্যা কোথায়? আম ব্যবহার করেছি এই তেল এবং উপকারও পেয়েছি।’
কিছুক্ষণ পরই ট্রান্সফরমার ঠিক করতে বিদ্যুত বিভাগের গাড়ি আসলেও তাদেরকে দাঁড় করিয়ে রাখেন তেল সংগ্রহকারীরা। এরপর এক প্রকার জোর করেই সেই জটলা ভেঙ্গে লাইন ঠিক করতে মই লাগান কর্মীরা।
ট্রান্সফরমার তেল এর বানিজ্যিক নাম পাইরানল এবং সিলিকন। তবে এই তেল মানবদেহে ব্যবহারে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে তা উপস্থিত কেউই জানাতে পারেনি।
বাংলাধারা/আরএইচআর













