রিয়াদুল ইসলাম রিয়াদ, বাঁশখালী »
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার শেখেরখীল ইউনিয়নের ফাঁড়ির মুখ ও সরকার বাজার মৎস্য খাতের একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। এখানে গড়ে উঠেছে মৎস্য অভয়ারণ্য। প্রতিদিন শত শত মৎস্য ট্রলার ও হাজার হাজার জেলে, ব্যবসায়ী ও স্থানীয় মানুষের ভিড় জমে এখানে। অন্যদিকে এ মৎস্য খাত ঘিরে দুই বাজারে গড়ে উঠেছে নানা রকমের স্থায়ী-অস্থায়ী স্থাপনা ও দোকান। আর এসব ব্যবসাকে পুঁজি করে স্থানীয় প্রভাবশালীরা সরকারি বেঁড়িবাধ দখল করে একের পর এক দোকান নির্মাণ করেই যাচ্ছে। এবার সেই দখলদারের তালিকায় নাম লেখালেন শেখেরখীল ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল খালেক।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শেখেরখীল ইউনিয়নের ফাঁড়ির মুখ এলাকার ডুকার শুরুতে ভাঙ্গা বেঁড়িবাধের উপর নির্মিত হচ্ছে দোকান। অথচ ভেঙ্গে যাওয়া এ বেঁড়িবাধে গাড়িতো দূরের কথা মানুষ হাটারও জায়গা নেই। আর সেই কথিত ভাঙ্গা বেঁড়িবাধের ৩০ থেকে ৩৫ ফুট জায়গা দখল করে দোকান নির্মাণ করছেন ইউপি সদস্য আব্দুল খালেক।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য আব্দুল খালেক বলেন, ‘বর্ষাকালে এই জায়গা দিয়ে আমার ঘর ও এলাকায় পানি ঢুকে তাই বাঁচার জন্য ওয়াল নির্মাণ করতেছি। এটি শুধুমাত্র বেঁড়িবাধ রক্ষার জন্য।’
এ কাজের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোন অনুমতি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ কাজের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের অনুমতি লাগবেনা কেন। আমি এটা ভালর জন্য করতেছি। আবার তিনি দোকান নির্মাণের কথা স্বীকার করে বলেন, এখানে শুধু আমি নই অনেকে দোকান নির্মাণ করতেছে। আপনি এসে দেখেন আমার আশে-পাশে বেঁড়িবাধের উপর সব দোকান।’
এ বিষয়ে জানতে শেখেরখীল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোরশেদুল ইসলাম ফারুকীকে কল দিলে তিনি সব কিছু বিস্তারিত শুনার পর কথা বুঝা যাচ্ছে না বলে কল কেটে দেন। এরপর বেশ কয়েকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাঁশখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী প্রকাশন চাকমা বলেন, ‘বিষয়টি এই মাত্র আপনার কাছ থেকে জানতে পারলাম। আমি খুব দ্রুত ওই জায়গায় লোক পাটাব। এবং বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখতেছি।’













