বাংলাধারা প্রতিবেদন»
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ঝরনা এলাকায় মহানগর প্রভাতী ট্রেন ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে ১৩ জনের মৃত্যুর ঘটনায় ৩ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা থাকলেও ১৯ দিন পর প্রতিবেদন জমা দিয়েছে রেলওয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) রেলওয়ের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক আবুল কালামের নেতৃত্বে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় ৫ সদস্যের গঠিত তদন্ত কমিটি।
প্রতিবেদনে দুর্ঘটনার জন্য প্রধানত লেভেল ক্রসিংয়ের দায়িত্বরত গেটকিপার সাদ্দাম হোসেনকে দায়ী করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনাস্থলেই মারা যাওয়া মাইক্রোবাসচালক গোলাম মোস্তফা নিরুকেও দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করা হয়েছে।
রেলওয়ের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক আবুল কালাম বলেন, ‘তদন্তে গেটম্যানের গাফিলতির প্রমাণ মিলেছে, তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এর আগে গত ২৯ জুলাই হাটহাজারী উপজেলার খন্দকিয়া গ্রামের একটি কোচিং সেন্টারের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং মাইক্রোবাস চালক-হেলপারসহ ১৮ জনের একটি দল মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ঝরনা ভ্রমণে যায়। দুপুরে ফেরার পথে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মহানগর প্রভাতী ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই ১১ জনের মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) আরও দুইজনের মৃত্যু হয়।
গত ২৯ জুলাই বেলা দেড়টার দিকে খৈয়াছড়া এলাকায় রেললাইনে উঠে পড়া মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দেয় চট্টগ্রামমুখী মহানগর প্রভাতী এক্সপ্রেস।
এতে ঘটনাস্থলে ১১ জন মারা যান। পরে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুজন মারা যান।
বাংলাধারা/আরএইচআর













