আলমগীর মানিক, রাঙামাটি »
মাছ ধরা মৌসুমের শুরুর দিনে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদ থেকে আহরিত মাছ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিপণনে প্রায় ৩০ লাখ টাকার রাজস্ব আদায় করেছে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) রাঙামাটি কেন্দ্র। বুধবার মধ্যরাত থেকে ৭২৫ বর্গ কিলোমিটার আয়তনে কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা শুরু হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাঙামাটিস্থ বিএফডিসি’র রাজস্ব আদায় কেন্দ্রের পল্টনে আহরিত মাছ নিয়ে আসে ব্যবসায়িরা।
কাপ্তাই হ্রদের মৎস্য সম্পদ ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা বিএফডিসি কর্তৃক নির্ধারিত রাজস্ব প্রদান করে হ্রদ থেকে আহরিত বিভিন্ন প্রজাতির মাছগুলো পরিবহণের মাধ্যমে চট্টগ্রাম-ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন পাইকারি বাজারে পৌঁছে দেওয়া হবে।
বিএফডিসির ব্যবস্থাপক নৌ-বাহিনীর কর্মকর্তা লেপ্টেনেন্ট কমান্ডার তৌহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রায় ১৫০ মেট্রিক টন মাছ কাপ্তাই হ্রদের বিভিন্ন স্থান থেকে মৎস্য অবতরণ ঘাটে নিয়ে আসেন ব্যবসায়িরা। এতে করে অন্তত ৩০ লক্ষ টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে। গত বছরের এই দিনে রাজস্ব আদায় হয়েছিলো ২৭ লাখ টাকা।
ব্যবস্থাপক জানান, এবছর মৌসুমের শুরুতে চাপিলা ও বড় সাইজের বাঁচা মাছের উপস্থিতি বেশি ছিলো। এছাড়াও কার্প জাতীয় মাছও ছিলো।
বিএফডিসি সূত্রে জানা গেছে, এবছর (চলতি ২০২২ সাল) এক কেজির নীচে ওজনের রুই, কাতল, মৃগেল,চিতল, মহাশোল মাছের জন্য ২৭, ১ থেকে ৩ কেজি ৪০ টাকা ৩ কেজির উপরে ৪২ টাকা শুল্কহার নির্ধারণ করা হয়েছে।
কাজরী, গ্রাসকার্প, বোয়াল, ঘনিয়া, নাইলোটিকা, বাঁশপাতা, বাতাসি মাছ কেজি প্রতি-৩২ টাকা, কৈ, শিং, মাগুর, সাদা টেংরা, বাচা, কালি বাউস, ৫০০ গ্রামের উপরে আইড় মাছ কেজি প্রতি-৪০ টাকা।
তেলাপিয়া, সরপুঁটি, সিলভার কার্প, বিগহেড-২৮ টাকা। চাপিলা/ কাটা মইল্যা, কেচকি, গুড়া মইল্লা, গুড়া বেলে/ চান্দাঁ/ কুচুঁ চিংড়ি কেজি প্রতি- ২০ টাকা। ফলি, শোল, গজার, বাইম, টাকি, কালো টেংরা, ৫০০ গ্রামের নীচে আইড়, বাটা, কাকিলা প্রতি কেজি-২৭ টাকা।
এছাড়াও উপরোক্ত মাছগুলোর শুটকির ক্ষেত্রে কেজি প্রতি ৩৬ টাকা থেকে শুরু করে ৬৩, ৯০ ও ১৬৬ টাকা হারে শুল্কহার নির্ধারণ করা হয়েছে।
চলতি বছরের পহেলা মে থেকে শুরু করে দীর্ঘ সোয়া ৩ মাস বন্ধ থাকার পর ১৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার থেকে কাপ্তাই হ্রদের মৎস্য সম্পদ আহরণ ও বিপণন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। হ্রদের নির্ধারিত অভয়াশ্রমগুলোতে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও সারাবছর সকল প্রকার মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। এছাড়াও ৯ ইঞ্চির নীচে কার্প জাতীয় মাছ ধরাসহ বাজারে বিক্রয় নিষিদ্ধ করা হয়েছে।













