রাউজান প্রতিনিধি »
চট্টগ্রামের রাউজানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১০ ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
রবিবার (২১ আগস্ট) ভোর ৪টার দিকে উপজেলার পাহাড়তলী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের তালুকদার বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডে ১০ বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
আগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন- চন্দন তালুকদার পিতা অনিল তালুকদার, নিউটন তালুকদার পিতা দুলাল তালুকদার, কাজল তালুকদার পিতা ধীরেন্দ্র তালুকদার, সুজন তালুকদার পিতা তরুণ তালুকদার, অ্যাডভোকেট সুধীর তালুকদার পিতা যতীন্দ্র তালুকদার, তপন তালুকদার পিতা ধীরেন্দ্র তালুকদার, বাবুল তালুকদার পিতা নারায়ণ তালুকদার, এডিসন তালুকদার পিতা নটু তালুকদার ও গণেশ তালুকদার পিতা দেবন্দ্র তালুকদার।
স্থানীয় ইউপি সৈয়দ মাহফুজুল হক বলেন, সংবাদ পেয়ে রাঙ্গুনিয়া ফায়ার সার্ভিসকে ফোন দিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি স্থানীয় হিন্দু-মুসলিমরা আগুন নেভাতে প্রাণপন চেষ্টা চালিয়ে ভোর ৫টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এরপূর্বে ১০টি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ঘরগুলোছিল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী মাটির ঘর এবং বাঁশ ও ইটের কাঁচা ঘর। ধারণা করা হচ্ছে তপন তালুকদারের বৈদ্যুতিক পাখার শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে। অগ্নিকাণ্ডে অনুমানিক ৩৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।

রাঙ্গুনিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ কামরুজ্জামান সুমন বলেন, ভোর ৪টা ২০ মিনিটে সংবাদ পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। আগুনের তীব্রতার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে একটু বেগ পেলেও ৫টার দিকে আগুন পুরাপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই।
এর আগের দিন শনিবার (২০ আগস্ট) একই ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড দাশপাড়ায় পূজার ধপকাঠি থেকে সৃষ্ট আগুনে দুই বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে মিলন দাশের ছেলে বিশু দাশ ও হারাধন দাশের ছেলে রুবেল দাশ ক্ষতিগ্রস্ত হন।
পাহাড়তলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রোকন উদ্দিন বলেন, ১০ ঘণ্টার ব্যবধানে দুটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তাৎক্ষণিকভাবে রাউজানের সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর পক্ষে প্রতিটি পরিবারকে ২০ কেজি করে চাল, ২ বান টিন, প্রয়োজনীয় কাপড়-চোপড় ও কিছু নগদ অর্থ প্রদান করি।













