মিরসরাই প্রতিনিধি »
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে কর্মসূচি ঠেকাতে রাজপথে দখল নিয়েছে মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
সোমবার (২২ আগস্ট) সকাল থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ মিছিল, দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন সরকারদলীয় নেতাকর্মীরা।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন ও দুই পৌরসভায়ও অবস্থান নেন তারা।
অন্যদিকে আজ ২২ আগস্ট থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল গড়িয়ে দুপুর হলেও কোথাও অবস্থান নিতে দেখা যায়নি বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনে নেতাকর্মীদের। সকাল থেকে মিরসরাই সদরে পুলিশ মোতায়েন ছিলো।
সকালে উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি আশরাফুল কামাল মিঠুর নেতৃত্বে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বড়দারোগাহাট থেকে মিরসরাই সদর পর্যন্ত মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করে কমলদহ বাজারে গিয়ে শেষ হয়।
বেলা ১১ টায় মিরসরাই পৌরসদরে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌরসভার মেয়র এম গিয়াস উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক জাফর উদ্দিন, প্যানেল মেয়র শাখের ইসলাম রাজু, উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক মাসুদ করিম রানা, মিরসরাই ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইদুর জামান রিফাতসহ নেতৃবৃন্দ।

দুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর নেতৃত্বে দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। আবুতোরাব বাজারে মঘাদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন মাস্টারের নেতৃত্বে নেতাকমীরা অবস্থান নেন।
উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শাহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আমরা শন্তিপূর্ণভাবে দলীয় কর্মসূচি পালনের জন্য পুলিশ প্রশাসনের কাছে অনুমতি চেয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ অনুমতি দেয়নি। তারপরও আমরা যথা সময়ে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করবো।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী বলেন, বিএনপি-জামায়াত আবারো জ্বালাও পোড়াও করে জনগণের জানমালের ক্ষতি করতে চায়। শান্তিপূর্ণ মিরসরাইকে অশান্ত করার পায়তারা করছে। সাবেক সফল মন্ত্রী, আওয়ামী লীগের বর্ষিয়ান নেতা জননেতা ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের এই মিরসরাইতে কেউ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে পারবে না। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিহত করতে উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা রাজপথে অবস্থান নিয়েছেন এবং থাকবেন।
মিরসরাই থানার অফিসার ইনচার্জ কবির হোসেন বলেন, বিএনপি কর্মসূচি পালনের জন্য আমাদের থেকে কোন অনুমতি নেয়নি। নিয়মিত ডিউটির অংশ হিসেবে পুলিশ টহল দিচ্ছে। যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি।













