কক্সবাজার প্রতিনিধি »
জমি বিরোধের জের ধরে কক্সবাজারের উখিয়ার মরিচ্যা বাজারের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ভাইকে ব্যাপক মারধর করেছে তার আপন দুই সহোদরের নেতৃত্বে দুর্বৃত্তদল। ওই সময় ডাক্তার ভাইটির চেম্বার ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পালং মেডিসিন সেন্টারেও ভাংচুর চালায় সহোদররা। মাথায় পাওয়া জখমের সাতটি সেলাই করতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
সোমবার (২২ আগস্ট) বিকেলে উখিয়ার মরিচ্যা বাজারের মধ্যম স্টেশনে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের মতে, হলদিয়াপালং ইউনিয়নের পূর্ব মরিচ্যা এলাকার মৃত মুকবুল সওদাগরের তিন ছেলে জয়নাল আবেদীন, কামরান উদ্দিন ও ইমরান উদ্দিন। তাদের মাঝে কামরান জনপ্রিয় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক। তারা তিন ভাইয়ের মাঝে দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। ইতিমধ্যে কামরান উদ্দিনকে তার সহোদর জয়নাল ও ইমরান নানা ভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল। এই নিয়ে তার মা ফাতেমা বেগম বাদি হয়ে ছেলে কামরানের নিরাপত্তা চেয়ে গত ২১ জুলাই উখিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এমনকি হুমকি দেয়ার অডিও রেকর্ডও কামরানের হাতে সংরক্ষিত রয়েছে। এই সব কিছু তোয়াক্কা না করে কামরানের উপর হামলা চালায় তারা।
আহত কামরান উদ্দিন দাবি করেন, তার দুই সহোদরের হামলায় মাথায় মারাত্বক জখম হয়েছে। সাতটি সেলাই দেয়া হয়েছে। দিনদুপুরে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর চালিয়েছে তারা। জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে প্রশাসনের হম্তাক্ষেপ কামনা করেছেন কামরান।
এ ব্যাপারে হলদিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য এম. মনজুর আলম বলেন, পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে তারা তিন ভাইসহ তাদের পরিবার নিয়ে বেশ কয়েকবার বৈঠক হয়েছে। সর্বশেষ সোমবার জায়গা বন্টন করতে গেলে তিন ভাইয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর একপর্যায়ে সহোদররা কামরানকে আঘাত করে। ঘটনাটি দুঃখজনক।
এইদিকে অভিযুক্ত দুই সহোদরের বক্তব্য নেয়ার জন্য নানা ভাবে চেষ্টা করা হয়। তাদের ব্যবহৃত মুঠোফোনে বার বার কল দেয়ার পরও রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, একটা অভিযোগ পেয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য একজন উপপরিদর্শককে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। উভয় পক্ষকে ডাকা হয়েছে অভিযোগ বিষয়ে। তার আগেই এমন ঘটনা খুবই দুঃখজনক। লিখিত এজাহার দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।













