রাঙামাটি প্রতিনিধি »
রাঙামাটির লংগদু’র কাট্টলী এলাকায় প্রতিপক্ষ পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের গুলিতে ইউপিডিএফ’র সক্রিয় কর্মী শ্যামল চাকমা (৩৪) নিহত হয়েছে বলে দলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
ইউপিডিএফ’র মুখপাত্র অংগ্যা মারমা প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএস’র সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা লংগদু কাট্টলী বিল এলাকায় অবস্থান করা ইউপিডিএফ কর্মী শ্যামল চাকমার ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে ব্রাশ ফায়ার করে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু নিশ্চিত করে। নিহত অংগ্যা মারমার বাড়ি রাঙামাটি নানিয়ারচর উপজেলাধীন সদর ইউনিয়নে।
লংগদু থানার অফিসার ইনচার্জ আরিফুল আমিন বলেন, ‘বিষয়টি শুনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর টিম নিয়ে ঘটনাস্থলে রয়েছি। লাশ উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত হতাহতের বিষয়টি এখনো পর্যন্ত আমরা নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারবো না।’
এদিকে, বুধবার ভোর থেকেই ইউপিডিএফ বিরোধী জেএসএস এর কর্মী-সমর্থকরা নিজেদের ফেসবুক পেইজে কাট্টলীতে রাতের অপারেশনে ইউপিডিএফ’র ৬ সন্ত্রাসীকে হত্যা ও ঘটনাস্থল থেকে দুইটি একে-৪৭ রাইফেল লুট করে নিজেদের কব্জায় নিয়েছে বলে ফেসবুকে অস্ত্রের ছবি ও তথ্যাদির প্রচার প্রচারণা চালালেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো সত্যতা মেলেনি।
এই ঘটনার জন্য সন্তু লারমার দল জেএসএসকে দায়ি করে ইউপিডিএফ নেতা অংগ্যা মারমা বলেছেন, এটা সম্পূর্নভাবেই রাজনৈতিক কিলিং মিশন। এই ধরনের সংঘাত বেধে দিয়ে পার্বত্য এলাকার মানুষকে জিম্মি করে রাখার পায়তারা চলছে।
তিনি বলেন, পাহাড়ে ভাতৃঘাতি সংঘাত বন্ধ করে আমরা যখন পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের যাত্রার লক্ষ্যে সরকারকে একটি লিখিত প্রস্তাবনা দিয়েছিলাম। সেই থেকে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন একটি গোষ্ঠী আমাদের নেতাকর্র্মীদের হত্যার মিশনে নেমেছে। এটা থেকে প্রতিয়মান হয় যে, সন্তু লারমা নিজেই পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন চায় না।
তিনি আরও বলেন, পাহাড়ে এই ধরনের হত্যাকান্ডগুলোর কোনো বিচার আজ পর্যন্ত দৃশ্যমান নয় তাই আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ায় আগ্রহী নই।












