কক্সবাজার প্রতিনিধি »
কক্সবাজারের মহেশখালী কুপিয়ে ও সদরের খুরুশকুলে পিটিয়ে দু’জনকে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) দুপুর ও সকালে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে নিশ্চিত করেন কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম
নিহতরা হলেন— মহেশখালীর কুতুুবজোম ইউনিয়নের তাজিয়াকাটা গ্রামের মৃত সাহাব মিয়ার ছেলে জিয়াউর রহমান (৫০) ও কক্সবাজার সদরের খুরুশকুল ইউনিয়নের দক্ষিণ পেঁচার ঘোনার পেঠান আলীর ছেলে আবদুল গফুর (৪৫)।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, মহেশখালীর কুতুবজোম ইউনিয়নের তাজিয়াকাটা সোমাইয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসার মাঠে শিক্ষক জিয়াউর রহমানকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। ওই সময় স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুত্বর আহত হন তার স্ত্রী রহিম বেগম (৪২)।
জিয়াউর রহমান স্থানীয় এবতেদায়ী মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক ও তার স্ত্রী তাজিয়াকাটা সোমাইয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক।
স্থানীয় সূত্র জানায়, একটি মাদ্রাসার এমপিও ভুক্তি নিয়ে মাদ্রাসা কমিটি ও জমি দাতাদের সাথে শিক্ষকদের বিরোধকে কেন্দ্র করে স্থানীয় মা’দু বরো গোষ্ঠী ও লালাব্বরো গোষ্ঠীর লোকজন বিরোধে জড়ায়। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা বিরোধের জেরেই বৃহস্পতিবারের ওই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
নিহতের ভাই বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে আমার ভাই, মাদ্রাসায় গিয়ে ভাবীর জন্য অপেক্ষা করেছিল। ওই সময় হঠাৎ আনছার, এবাদুল্লাহ, নেছার, মোস্তাকসহ ৮/১০ মিলে মাদ্রাসায় প্রবেশ করে আমার ভাইকে টেনে মাঠে এনে কুপিয়ে হত্যা করে। তখন আমার ভাবী আমার ভাইকে বাঁচাতে আসলে তাকেও কোপায় তারা।
তিনি আরো বলেন, আমার ভাবীর অবস্থা আশংকাজনক। তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মহেশখালি থানার ওসি প্রনব চৌধুরী বলেন, নিহতের মরদেহ সুরতাহাল প্রতিবেদন তৈরি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে পুলিশ।
অপরদিকে, সাগরে যাবার জন্য ট্রলারে সঙ্গী জেলেকে ডাকতে গিয়ে বাকবিতণ্ডায় জেলের আঘাতে নিহত হন কক্সবাজার সদরের খুরুশকুলের ট্রলার মাঝি আবদুল গফুর। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, স্থানীয় আমির হোসেন বহদ্দারের মাছ ধরার ট্রলার মাঝি আবদুল গফুর। বৃহস্পতিবার সকালে মাঝি মাল্লারা সাগরে যাওয়ার জন্য জড়ো হচ্ছিল। এ সময় ট্রলারের জেলে নুর মোহাম্মদকে ডাকাডাকি করার এক পর্যায়ে কথা কাটাকাটি হয়। এসময় গফুর মাঝিকে লাঠি দিয়ে নুর মোহাম্মদ মাথায় আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই আবদুল গফুরের মৃত্যু হয়। জেলে নুর মোহাম্মদ একই এলাকার আব্দু সালামের ছেলে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুনীর উল গীয়াস বলেন, তুচ্ছ ঘটনায় কথা কাটাকাটির জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্যে প্রেরণ করা হয়েছে।













