৯ নভেম্বর ২০২৫

নিয়োগে দুর্নীতি করে দুদকের মামলা খেল রেলের জিএমসহ পাঁচজন

বাংলাধারা প্রতিবেদক»

২০১৭ সালে রেলওয়ের নিরাপত্তাবাহিনীর (আরএনবি) সিপাহি পদে ১৮৫ জনকে নিয়োগের ছাড়পত্র দেওয়া হয়। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর গঠিত হয় কমিটিও। কিন্তু নিয়োগ পরীক্ষায় বিশেষ কোটার কিছু পরীক্ষার্থীদের আর্থিক সুবিধা নিয়ে পাস দেখানো হয় তাদের। বাকিদের দেখানো হয় মৌখিকে অনুত্তীর্ণ। এসব অভিযোগ এনে তৎকালীন পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) সৈয়দ ফারুক আহমেদসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রবিবার (২৯ আগস্ট) দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১-এ বাদী হয়ে মামলাটি করেন ঢাকার দুদকের উপপরিচালক মোহাম্মদ সিরাজুল হক। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম-১-এর উপপরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াদাত।

মামলার আসামিরা হলেন— আরএনবির সাবেক কমান্ড্যান্ট মো. জহিরুল ইসলাম, সাবেক কমান্ড্যান্ট মো. আশাবুল ইসলাম, সাবেক কমান্ড্যান্ট ফুয়াদ হাসান পরাগ, পূর্বাঞ্চলের সাবেক এসপিও মো. সিরাজ উল্যাহ এবং রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সাবেক মহাব্যবস্থাপক সৈয়দ ফারুক।

এদের মধ্যে বর্তমানে মো. জহিরুল ইসলাম পূর্বাঞ্চলের চিফ কমান্ড্যান্ট এবং মো. আশাবুল ইসলাম পশ্চিমাঞ্চলের চিফ কমান্ড্যান্ট হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। সাবেক কমান্ড্যান্ট ফুয়াদ হাসান পরাগ বর্তমানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিবের দায়িত্ব পালন করছেন।

এ ছাড়া সাবেক চিফ কমান্ড্যান্ট মো. ইকবাল হোসেনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে অপরাধ প্রমাণিত হলেও তিনি মৃত্যুবরণ করায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, বাংলাদেশ রেলওয়ে থেকে ২০১৭ সালে রেলওয়ের নিরাপত্তাবাহিনীর সিপাহি (আরএনবি) চতুর্থ শ্রেণির ১৮৫টি পদে নিয়োগের ছাড়পত্র দেওয়া হয়। একই বছর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় এবং নিয়োগ কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু আসামিদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে অবৈধভাবে নিজেরা লাভবান হয়ে বা অন্যকে লাভবান করার অসাধু অভিপ্রায়ে নিয়োগ কমিটির আহ্বায়ক, সদস্যসচিব, সদস্য ও অনুমোদনকারী হিসেবে ন্যস্ত ক্ষমতার অপব্যবহার করে পরিকল্পিতভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

অসৎ উদ্দেশ্যে বিশেষ কোটার যেমন—মুক্তিযোদ্ধা কোটা, পোষ্য কোটার প্রার্থীদের পাসের কাছাকাছি নম্বর দিয়ে মৌখিক পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ দেখিয়ে উক্ত কোটায় পছন্দের প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষায় পাস দেখান তাঁরা। চাকরি দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া এবং বিভাগীয় কোটা, জেলা কোটা, পোষ্য কোটাসহ অন্যান্য কোটা বিধি মোতাবেক যথাযথভাবে প্রতিপালন না করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে।

মামলায় তাদের বিরুদ্ধে ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারাসহ দণ্ডবিধি ১০৯ ধারার অভিযোগ আনা হয়।

দুদকের উপ-পরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াদাত বলেন, সিপাহী নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারাসহ দণ্ডবিধি ১০৯ ধারায় মামলাটি করা হয়েছে। আসামিরা সবাই আরএনবি সিপাহী নিয়োগ কমিটিতে ছিলেন।

তদন্তে অন্য কারো সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দুদকের এ কর্মকর্তা।

বাংলাধারা/আরএইচআর

আরও পড়ুন