৯ নভেম্বর ২০২৫

‘বঙ্গবন্ধুকে খুনের মধ্য দিয়ে দেশে ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করে জিয়া’

কক্সবাজার প্রতিনিধি »

‘১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মধ্য দিয়ে এদেশে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেন জিয়াউর রহমান। পরবর্তীতে সে হত্যার রাজনীতির নেতৃত্ব দেন জিয়া পত্নী খালেদা এবং পুত্র তারেক রহমান। তারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু তনয়া আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেনেড হামলা করে হত্যা চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তারা বরাবরই ব্যর্থ হয়েছে। দেশের মানুষের ভালবাসায় শেখ হাসিনাকে আল্লাহপাক বাঁচিয়ে রেখেছে।’

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে শোক র‌্যালি পূর্ববর্তী সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।

মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এস এম সাদ্দাম হোসাইনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশ বক্তারা আরও বলেন, ‘হত্যার রাজনীতির আতুড় ঘর বিএনপি এখনো ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। তারা শুধু আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত করছে তা নয়, করছে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রও। দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে পালাতক আসামী তারেক রহমান বিদেশে বসে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা রুখে দিতে চাই। বিএনপির দেশ বিরোধী এসকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে ছাত্রলীগকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।’

জেলা ছাত্রলীগ আয়োজিত শোক র‌্যালিতে বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমান, কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, মহেশখালী কুতুবদিয়া আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উজ্জল কর, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এ মঞ্জুর, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মঈন উদ্দিন, মুন্না চৌধুরী, শাখাওয়াত হোসাইন, নারিমা জাহান, যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন খোকন প্রমুখ।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে শেষে বিকেল পাঁচটার দিকে শোক র‌্যালীটি বাহারছড়া গোলচক্কর মুক্তিযোদ্ধা মাঠ থেকে শুরু হয়ে কলাতলী মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। স্মরণ কালের বৃহৎ এ র‌্যালীতে ২০ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন। এ সময় নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানান জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সাধারণ সম্পাদক।

এর আগে বেলা ২টা থেকে জেলা ছাত্রলীগের আওতাধীন বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা মিছিলসহকারে মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে মিলিত হতে থাকেন।

আরও পড়ুন