৯ নভেম্বর ২০২৫

প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিতে মধ্যরাতে পাহাড় কাটছে ইয়াছিন

আকাশ মারমা মংসিং, বান্দরবান »

বান্দরবানে বিভিন্ন উন্নয়ন কিংবা নামে-বেনামে বসতঘর নির্মাণ করে পাহাড় কেটে ধ্বংষযজ্ঞ চালাচ্ছে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট। দিনের বেলায় প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে মধ্যরাতে পাহাড় কাটছে চক্রটি।

সূত্রে জানা যায়, এই চক্রের মূল হোতা মোহাম্মদ ইয়াসিন আহমেদ। তার নামে রয়েছে পাহাড় কাটার একাধিক মামলা। পরিবেশ অধিদপ্তরের মামলায় জরিমানাসহ খেটেছেন জেলও।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সম্প্রতি চুক্তি ভিত্তিতে রাতের আধাঁরে বান্দরবানের পৌর ক্যচিংঘাটা নতুন পাড়ার বীর বাহাদুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ সড়ক সংলগ্ন একটি পাহাড়ে বসতি নির্মাণের জন্য সে পাহাড়টি কেটে ফেলেছে। এছাড়া নীলাচল চাওয়ার পথে টাইগার পাড়া এলাকায় এক প্রভাবশালী বাগান মালিককে পাহাড় কেটে রাস্তা করার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। এছাড়া পাহাড়কাটা মাটি ট্রাক ভর্তি করে অন্য জায়গায় বিক্রি করে দেয় সে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ক্যচিং পাড়ার বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, বসতি ঘর নির্মাণের জন্য মধ্যরাতে ভারি স্কেভেটর দিয়ে উঁচু পাহাড় কেটে সমান করছে। আবার সেই মাটি ট্রাকে ভর্তি করে অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে। বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ এ কাজে যুক্ত হচ্ছে।

স্থানীয়রা আরও জানান, সামান্য বৃষ্টি হলেই কাটা পাহাড়ের মাটি ধ্বসে চলাচলের রাস্তায় এসে পড়ে। ফলে স্কুল-কলেজের কোমলমতি শিক্ষার্থী ছাড়াও এলাকার বাসিন্দাদের হাঁটা চলায় বেশ সমস্যা তৈরি হয়।

স্থানীয়রা সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও দপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানান, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে চক্রটিকে এখনই থামানো দরকার।

স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে সংবাদ প্রকাশ করতে নিষেধ করে ইয়াছিন বলেন, এলাকার প্রভাবশালীর ছত্রছায়ায় পাহাড় কাটা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক মো. ফখর উদ্দিন জানান, পরিবেশ আইন অমান্য করে অবৈধভাবে পাহাড় কাটা ব্যবসায়ী ও সিন্ডিকেটদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরিবেশ আইন অমান্য করে পাহাড় কাটার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ১৬টি মামলা রেকর্ডভুক্ত করা হয়েছে।

অভিযোগ প্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থাগ্রহণ আমলে নিচ্ছি বলেও জানান এই কর্মকতা।

আরও পড়ুন