৭ নভেম্বর ২০২৫

শরতের কাশফুলে প্রকৃতির রূপসজ্জা

দেবাশীষ বড়ুয়া রাজু, বোয়ালখালী »

কাশফুল শোভন শুভ্র ফুল। প্রকৃতিতে কাশফুলের আনাগোনা দেখলেই প্রাণবন্ত ঋতু শরৎকালের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। শরৎ ও কাশফুল যেন একই সুতোয় গাঁথা। পুরো শরৎকালজুড়েই দেখা যায় কাশফুলের সঙ্গে সাদা মেঘের মিতালি। কাশফুল আর সাদা মেঘের মিতালিতে সবুজের সমারোহ মিলিয়ে প্রকৃতি যেন এক অনন্য রূপে ফুটে ওঠে। যা দেখে যে কারও মন কাড়ে।

কিন্তু গ্রামবাংলার অপরূপ শোভা কাশবন কালের বিবর্তনে বিলুপ্তির পথে। যুগযুগ ধরে গ্রামের মেঠোপথে, খাল-বিল,নদীর ধারে কিংবা পাহাড়ের ঢালে আপন মনে দোল খেতো কাশফুল। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পথে কাশফুলের সৌন্দর্যে পথচারীদের হৃদয় ছুঁয়ে যেত। এখন আর সেভাবে দেখা যায় না কাশবন।

তবে রূপবৈচিত্রের লীলাভূমি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার গ্রামগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে ফুটতে দেখা যায় কাশফুল। হারিয়ে যাওয়ার পথে হলেও কোন কোন স্থানে ফুটে ওঠা কাশফুল এখনো প্রকৃতিপ্রেমি মানুষের মনকে সত্যিই নাড়া দিচ্ছে।

গতকাল উজেলার জ্যৈষ্ঠপুরা পাহাড়ের ঢালায় দেখা মেলে কিছু কাশবন। এছাড়াও পৌরসভার পশ্চিম গোমদন্ডীর চরখিদিরপুর এলাকার কর্ণফুলী নদীর পাড় ও শাকপুরা এলাকার কিছু জায়গায় কাশফুল দেখা গেছে।

এখনো যেখানে কাশবন আছে, সেখানেই প্রকৃতি প্রেমীরা সকাল বিকেল কাশফুলের সাথে মিতালি করতে যাচ্ছে। সেলফিও তুলতে দেখা গেছে অনেককে। জ্যৈষ্ঠপুরা পাহাড়ি এলাকায় কাশফুলের সাথে সেলফি তোলার সময় কথা হয় রাজু দে’র সাথে। তিনি বলেন, শরতে কাশফুলের নয়নাভিরাম সৌন্দর্যই আলাদা। কাশবন এখন আগের মতো আর চোখে পড়ে না। তাই মোটরবাইক নিয়ে কয়েক কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে এখানে এসে কাশফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করে মনটা যেন শীতল হয়ে গেলো।

চরখিদিরপুর এলাকায় কর্ণফুলি নদীর পাড়ে কাশফুল দেখতে আসা প্রকৃতি অনুরাগী অপর দুই কলেজ ছাত্র রিমেল ও বরণ বড়ুয়া বলেন কাশফুল দেখলেই প্রকৃতি জানান দেয় শরৎ এসে গেছে। কালের পরিক্রমায় এখন অনেক কিছু হারিয়ে যাচ্ছে। প্রাকৃতিক এসব নান্দনিক সুন্দর বাচিয়ে রাখা প্রয়োজন। যান্ত্রিকতার প্রভাব থেকে মানুষের মনকে কোমল রাখতে প্রকৃতিকে নিজস্ব রূপে সংরক্ষণ করতে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ