আন্তর্জাতিক ডেস্ক »
দ্বিতীয়বারের চেষ্টাতেও আর্টেমিস ওয়ান মহাকাশে পাঠাতে পারলো না নাসা। এসএলএস রকেটের মূল অংশ থেকে বারবার তরল হাইড্রোজেন লিক করে বেরিয়ে আসতে থাকায় উৎক্ষেপণ স্থগিত করার ঘোষণা এসেছে ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরালের কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে।
শনিবার সকাল থেকেই উৎক্ষেপণের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন নাসার প্রকৌশলীরা; জ্বালানি ভরা হচ্ছিল রকেটে। কিন্তু ফ্লোরিডার স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ১৭ মিনিটে উৎক্ষেপণ স্থগিত করার ঘোষণা আসে আর্টেমিস লঞ্চ কন্ট্রোল থেকে।
রকেটে তরল হাইড্রোজেন প্রবাহে বিপত্তি প্রথম ধরা পরে ফ্লোরিডার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে। রকেটের ‘কুইক ডিসকানেক্ট’ সিস্টেমের ফাঁক দিয়ে লিক করে বেরিয়ে আসছিল তরল হাইড্রোজেন।
পরের চার ঘণ্টায় একাধিকবার কারিগরি ত্রুটি সমাধানের চেষ্টা করেছেন নাসার প্রকৌশলীরা। একাধিকবার ‘কুইক ডিসকানেক্ট’ সিস্টেমের যন্ত্রাংশ উত্তপ্ত করে সংযোগ স্থলে সঠিকভাবে জোড়া দিয়ে নিরবচ্ছিন্ন তরল হাইড্রোজেন প্রবাহ চালু করার চেষ্টা করেছেন তারা।
কিন্তু প্রতিবারই প্রবাহের চাপ বাড়ানোর পর বেরিয়ে আসতে থাকে তরল হাইড্রোজেন। শেষ পর্যন্ত সকাল ১১টা ১৭ মিনিটে মিশন স্থগিত করার ঘোষণা দেন উৎক্ষেপণ পরিচালক।
উৎক্ষেপণের পরবর্তী দিন-তারিখ এখনও কোনো ঘোষণা করেনি নাসা।
এর আগে ২৯ সেপ্টেম্বরের চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর বিকল্প হিসেবে প্রথমে ২ ও ৫ সেপ্টেম্বরের কথা ভেবে রেখেছিল মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি। পরে দ্বিতীয় চেষ্টার দিন হিসেবে ৩ সেপ্টেম্বরকে নির্বাচন করেছিল নাসা।
পাঁচ দশক পরে নভোচারীদের চাঁদে ফেরাতে নাসার দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার প্রথম ধাপ হচ্ছে আর্টেমিস ওয়ান। চাঁদে অবতরণ না করলেও চাঁদকে আবর্তন করে পৃথিবীতে ফেরত আসার কথা ছিল আর্টেমিস ওয়ানের ওরিয়ন স্পেসক্র্যাফটের।
এ মিশনে কোনো মানব নভোচারী না থাকলেও আছে তিনটি মানবসদৃশ ম্যানিকুইন বা ডামি। আর্টেমিস ওয়ান নিয়ে নাসার মূল লক্ষ্যই ছিল নতুন ‘স্পেস লঞ্চ সিস্টেম (এসএলএস)’ রকেট এবং ওরিয়ন স্পেসক্র্যাফট কতোটা টেকসই তা যাচাই করা।
এছাড়াও এসএলএস রকেট ও ওরিয়ন স্পেসক্র্যাফট নভোচারীদের বহনে উপযোগী কি না, সেটি যাচাই করতে মানবসদৃশ ম্যানিকুইনগুলোতে জুড়ে দেওয়া হয়েছিল একাধিক সেন্সর।