২৭ অক্টোবর ২০২৫

এক বল হাতে রেখে ভারতকে হারালো শ্রীলঙ্কা

ক্রীড়া ডেস্ক »

এশিয়া কাপের ফাইনালে যেতে লঙ্কানদের বিপক্ষে ভারতের ম্যাচ জয় গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কিন্তু সুপার ফোরে টানা দ্বিতীয় ম্যাচ হেরে রোহিতরা এখন ছিটকে যাওয়ার শঙ্কায়! মঙ্গলবার তাদের ৬ উইকেটে হারিয়ে শ্রীলঙ্কা ফাইনালের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেলো।

রোহিতদের এখন এমন অবস্থা যে ফাইনালে যেতে শুধু আফগানিস্তানকে হারালেই চলবে না। তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য ম্যাচগুলির ফলাফলের দিকেও।

দুবাইয়ে ১৭৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা শ্রীলঙ্কা শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ভারতের ওপর চেপে বসে। ধীরে ধীরে কুশল মেন্ডিস ও পাথুম নিসাঙ্কার ৯৭ রানের জুটিতে ম্যাচটা প্রায় নিয়ন্ত্রণেও চলে আসে। দুজনের এই জুটি আবার ভারতের বিপক্ষে সর্বোচ্চও।

লঙ্কানদের বিপদের শুরু ১২তম ওভারে। যুজবেন্দ্র চাহালের জোড়া আঘাতের পর চাপে পড়া শুরু। এই লেগ স্পিনার প্রথম বলে তুলে নেন ৫২ রান করা নিসাঙ্কার উইকেট। তার ৩৭ বলের ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও ২টি ছয়। চতুর্থ বলে নতুন নামা চারিথ আসালাঙ্কার উইকেটও পড়ে চাহালের ঘূর্ণিতে। অশ্বিন ১ রানে গুনাথিলাকার বিদায় নিশ্চিত করলে বিপদ বাড়ে আরও। চাহাল ৫৭ রান করা মেন্ডিসের উইকেট তুলে নিলে কঠিন চাপে পড়ে লঙ্কান দল। বিপরীতে জয়ের সম্ভাবনা জাগে ভারতীয় শিবিরে। মেন্ডিসের ৩৭ বলের ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও ৩ ছয়।

চতুর্থ উইকেট পতনের পরই মূলত দারুণ এক থ্রিলারে রূপ নেয় ম্যাচ। স্নায়ুর চাপ সামলে ১ বল হাতে রেখে ম্যাচটা বের করে নেন ভানুকা রাজাপাকশে ও দাশুন শানাকা। শানাকা ১৮ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৩৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। রাজাপাকশে ১৭ বলে অপরাজিত থাকেন ২৫ রানে। তার ইনিংসে ছিল ২টি ছয়। চাহাল ৩৪ রান ৩ উইকেট নিয়ে ভারতের সেরা বোলার।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে দ্রুত দুই উইকেট হারায় ভারত। লোকেশ রাহুল (৬) ও বিরাট কোহলির (০) মতো ব্যাটারদের উইকেট তুলে নিয়ে চাপ সৃষ্টি করতে সক্ষম হন থিকশানা ও মাদুশাঙ্কা।

চাপ কাটিয়ে উঠতে বড় অবদান ছিল অধিনায়ক রোহিত শর্মার। ৫ চার ও ৪ ছক্কায় ৪১ বলে ৭২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন। ইনিংস মেরামতে ভূমিকা রাখে সূর্যকুমার যাদবের ২৯ বলে ৩৪ রানও। তৃতীয় উইকেটে দুজনের ৯৭ রানের জুটি ভালো সংগ্রহ পেতে ভূমিকা রাখে।

লঙ্কানরা তাদের বিদায় দিয়ে তুলে নিতে পারে বিপজ্জনক হার্দিক পান্ডিয়া ও ঋষভ পান্তের উইকেটও। তাতে শেষের দিকে ঝড় তোলার মতো রসদের টান পড়ে ভারতীয়দের। দুজনেই ১৭ রান করে ফিরেছেন। দীপক হুদাও ৩ রানের বেশি করতে পারেননি। শুধু শেষটায় রবিচন্দ্রন অশ্বিন দৃষ্টি নন্দন ওভার বাউন্ডারি মারলে তাদের স্কোর দাঁড়ায় ৮ উইকেটে ১৭৩। অশ্বিন ৭ বলে ১৫ রানে অপরাজিত ছিলেন।

লঙ্কানদের হয়ে ২৪ রানে ৩ উইকেট নেন পেসার দিলশান মাদুশাঙ্কা। ২৭ রানে দুটি নেন চামিকা করুনারত্নে। ২৬ রানে দুটি নেন দাসুন শানাকাও। ম্যাচ জেতাতে ব্যাট হাতে অবদান রাখায় ম্যাচসেরাও তিনি। ২৯ রানে একটি নিয়েছেন মাহিশ থিকশানা।

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ