২৭ অক্টোবর ২০২৫

বান্দরবানে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বালু উত্তোলন, মূলহোতা ইমরান

বান্দরবান প্রতিনিধি »

পার্বত্য জেলার বান্দরবানে প্রকৃতি ধ্বংসকারী কিছু অসাধু বালু খেকো প্রতিনিয়ত খাল, ঝিরি-ঝর্ণা থেকে বালু উত্তোলন করেই যাচ্ছে। ফলে হুমকি মুখে পড়ছে পাহাড় এবং বালুঘাটের পার্শ্বর্তী ফসলি জমি ও বসতঘর। তাছাছা এসব অবৈধ বালু উত্তোলনের কারণে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। চক্রটি এলাকায় তাদের প্রভাব খাটিয়ে প্রশাসনের চোখকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রতিনিয়ত পাহাড় ও প্রকৃতি ধ্বংস করে যাচ্ছে।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সিন্ডিকেটটি মূলত স্থানীয় নেতা ইমরানের নামেই চলছে। তিনি একসময় বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল। বর্তমানে ওই এলাকার এক প্রভাবশালী নেতার ছত্রছায়ায় সে বালু উত্তোলনের এ সিন্ডিকেট চালায়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সদর উপজেলার চড়ুই পাড়া এলাকার পার্শ্ববর্তী খালের মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করে বিশাল জায়গা জুড়ে মজুদ করে রাখা হয়েছে। দফায় দফায় বালু উত্তোলনের কারণে খালটির পানির স্তর নিয়ে নেমে হারিয়ে গেছে আদ্রত। হুমকি মুখে পড়েছে ওই এলাকা জীব-বৈচিত্র্য। প্রশাসনের কোন ছাড়পত্র কিংবা অনুমতি ছাড়া কিভাবে বালু তুলছেন পরিবেশে ধ্বংসকারী মহল প্রশ্ন থেকেই গেল অত্র এলাকা সচেতন জনসাধারণের।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন স্থানীয় এই প্রতিবেদকে জানান, খালের বালু উত্তোলন বিষয়টি জানলেও মুখ খুলতে ভয় পান তারা। কারণ তিনি ওই এলাকা প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার ইন্ধনে তার কাজগুলো করছেন। এসব প্রভাব দেখিয়ে দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে ইমরান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুঠোফোনে ইমরান বলেন, নদীর খাল থেকে বালু উত্তোলন করছি না। খালের পাড় ঘেষা চর থেকে বালু নিচ্ছি।

প্রশাসনের অনুমতি আছে কি-না জানতে চাইলে তিনি তা এড়িয়ে গিয়ে ফোনটি কেটে দেন। পরে একাধিক বার ফোন করলেও সাড়া মেলেনি।

জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে সরেজমিনে গিয়ে অবৈধ বালুর উত্তোলণ সত্যতা পাওয়ার ইমরান নামের সে ব্যক্তিকে পরিবেশ অধিদপ্তরের ৬ লাখ টাকা জরিমানা করে। বিভাগীয় নির্দেশনায় ইমরানসহ কয়েকজন জড়িতদের বিরুদ্ধে বান্দরবান সদর থানায় একটি মামলার দায়ে করা হয়েছে। সেটি কয়েকদিন মধ্যে কার্যকর হবে বলেও জানা গেছে।

কুহালং ইউপি চেয়ারম্যান মংপু মারমা বলেন, ইমরান নামে এক ব্যক্তি দফায় দফায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। প্রশাসন তাকে সতর্ক করলেও সে তার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরে সহকারী পরিচালক ফখর উদ্দিন জানিয়েছে, চড়ুই পাড়া বালু উত্তোলনকারীদের নামে একাধিক মামলা রুজু আছে। তাদের বিরুদ্ধে খুব শীঘ্রই বিভাগীয়ভাবে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ