নিজস্ব প্রতিবেদক »
৩-৪ মাসের বেতন বকেয়া। তাই পরিবার-পরিজন নিয়ে চোখেমুখে চিন্তার ছাপ। চাকরি থাকবে নাকি থাকবেনা—তা নিয়েও রয়েছে সংশয়। এমন পরিস্থিতিতে বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে বাংলাদেশ রেলওয়ের স্থায়ী শূন্য পদের বিপরীতে অস্থায়ী টিএলআর হিসেবে কর্মরত শ্রমিকরা বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন।
বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রামসহ চার ডিভিশনের বিভাগীয় ম্যানেজার (ডিআরএম) অফিসে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
জানা যায়, দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর রেলওয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে অস্থায়ী টিএলআর শ্রমিক হিসেবে দায়িত্বের সাথে চাকরি করার পরেও শ্রমিকদের মনে আতঙ্ক বিরাজ করছে চাকরি হারানোর। কারণ, রেলওয়ে বর্তমানে টিএলআর প্রথা থেকে সরে এসে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে শ্রমিক নিয়োগের সিস্টেম চালু করছে। যাতে রেল তার প্রায় ৬ হাজার ৭২৯ জন দক্ষ শ্রমিক হারাবে।
রেলওয়ে অস্থায়ী টিএলআর শ্রমিক সংগঠনের নেতা মোহাম্মদ হোসেন বলেন, রেলওয়েতে টিএলআর খাতে কোনও বাজেট ও মঞ্জুরি বরাদ্দ নেই দেখিয়ে ১ জুলাই থেকে রেলওয়ের বিভিন্ন দফতরে পোর্টার, গেইটকিপার, খালাসী, ওয়েম্যান, অফিস সহকারী সহ অন্যান্য পদে দীর্ঘদিন কর্মরত অস্থায়ী টিএলআর শ্রমিকদের বেতন এখন পর্যন্ত বন্ধ আছে।
তিনি বলেন, ‘বেতন কবে নাগাদ প্রদান করা হবে এ নিয়ে প্রশাসনকে বারবার তাগাদা দিলেও আশ্বাস ছাড়া কোনও সমাধান দিতে পারছে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘শ্রমিকেরা দীর্ঘ ৩-৪ মাস বেতন ছাড়া পরিবার নিয়ে খুবই কষ্টে জীবনযাপন করছে। একবেলা খেয়ে আরেক বেলা না খেয়ে জীবন কাটছে তাদের।’
শ্রমিক নেতারা বলেন, বিগত সময়ে রেলওয়েতে অস্থায়ী টিএলআর হিসেবে ৩ বছর চাকরি করলে তাদের স্থায়ী করে নিতো। ২০১৭ সালের ৩ ডিসেম্বর এক পত্রের মাধ্যমে রেলওয়ে প্রশাসন পূর্ব/পশ্চিম অঞ্চলকে সিদ্ধান্ত নিতে বলে—যারা ৩ বছরের অধিক সময় অস্থায়ী টিএলআর হিসেবে কর্মরত তাদের চাকরি আত্মীকরণের জন্য। এর প্রেক্ষিতে পশ্চিম অঞ্চলে একটি কমিটি গঠন হলেও তার কোনও অগ্রগতি নেই।
তারা বলেন, এখন হাজারো শ্রমিক চাকরি হারালে তারা পরিবার নিয়ে কোথায় যাবে? তাদের এখন অন্য পেশায় যাওয়ার সুযোগ নেই। এসব বিষয় সমাধান করে হাজারো টিএলআর শ্রমিকের মানবিক দিক বিবেচনা করে চাকরি স্থায়ীকরণের জন্য রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছি।
সমাবেশে বক্তব্য দেন শ্রমিক নেতা দেলোয়ার হোসেন, মো. শাওন, মো. ইলিয়াস, সাদ্দাম হোসেন, আশরাফুল ইসলাম অভি, জুয়েল খান, আবু হাসান হিরা, রাশেদুল ইসলাম, মো. রুবেল, প্রমুখ।













