১১ নভেম্বর ২০২৫

সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট খালেকুজ্জামানের ২১ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

জেলা প্রতিনিধি, কক্সবাজার »

আজ কক্সবাজারের জনপ্রিয় সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ খালেকুজ্জামনের ২১তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রামুর বাইপাস চত্তরে লাখো মানুষের এক নির্বাচনী জনসভায় হার্টঅ্যাটাকে ইন্তেকাল করেছিলেন কক্সবাজার-রামুর দুইবারের নির্বাচিত প্রতিভাবান এ সংসদ সদস্য। তার ইন্তেকালের ২১ বছর পরেও রামু-কক্সবাজারের মানুষ তাঁকে স্মরণে রেখেছেন।

মারা যাওয়ার ২১ বছর পরেও রামু-কক্সবাজারের জনগণ শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় স্মরণ করছেন তাদের প্রিয় নেতা মরহুম অ্যাডভোকেট
খালেকুজ্জামানকে। রামু-কক্সবাজারের বিভিন্ন মসজিদে তাঁর জন্য দোয়া মাহফিল আয়োজন হয়েছে। স্থানীয় সংবাদ পত্রগুলো প্রকাশ করছে তার জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে বিদগ্ধ লেখকদের তথ্যসমৃদ্ধ লেখায় ক্রোড়পত্র।

খতমে কোরআন, এতিমখানায় ভাল খাবার সরবরাহ ও দোয়া মাহফিল করছেন অ্যাডভোকেট খালেকুজ্জামান স্মরণ পরিষদ।

অ্যাডভোকেট খালেকুজ্জামানের বর্ণাঢ্য জীবনী

মো. খালেকুজ্জামান ১৬ জানুয়ারী ১৯৫৩ সালে মৌলবী ফরিদ আহমদ ও বেগম রিজিয়া আহমদের ঐরসে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম মৌলবী ফরিদ আহমদ ছিলেন সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য ও ১৯৫৭ সালে গঠিত আইআই চুন্দ্রীগড় মন্ত্রীসভার কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রী।

২০০১ সালের ১ অক্টোবরের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাত্র তিনদিন আগে ২৮ সেপ্টেম্বর ২০০১ রামু বাইপাসের বর্তমান ‘খালেকুজ্জামন চত্বরে’ লাখো মানুষের জনসভায় হেসে হেসেই তিনি দুনিয়া থেকে চলে যান। তখন তিনি ছিলেন, তৎকালীন ৪ দলীয় জোটের কক্সবাজার-রামুর আসনের মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী।

প্রচার বিমুখ খালেকুজ্জামান

ছিলেন অত্যন্ত ধীশক্তির অধিকারী। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে তাঁর মেধার সুস্পষ্ট স্বাক্ষর রেখেছেন তিনি। মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ থেকে মাধ্যমিক পাশ করেন অত্যন্ত কৃতিত্বের সাথে। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের Institute of Business Administration থেকে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে পাশ করেন এমবিএ। আইইউবিএটি এর একজন সফল শিক্ষক হিসেবে তিনি শিক্ষার্থীদের শ্রদ্ধা ও প্রশংসা অর্জন করেছেন। এলএলবি পরীক্ষাতেও তিনি তাঁর প্রতিভার পরিচয় দিয়েছেন।

১৯৯৬ সালে কক্সবাজার-রামু আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে তিনি সাড়া জাগিয়েছিলেন পার্লামেন্টে। স্থানীয় স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদের উন্নয়নে রেখে গেছেন অবনদ্য অবদান। রামু কলেজ, কক্সবাজার সিটি কলেজ ও ঈদগাঁও রশীদ আহমদ কলেজ, রামু হাই স্কুল, নাদেরুজ্জামান হাইস্কুলসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উন্নয়নে তিনি পালন করেন প্রশংসনীয় ভূমিকা।

কম্পিউটার বিজ্ঞান শিক্ষা প্রবর্তনের জন্য তিনি প্রতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে উদ্বুদ্ধ করেছেন কর্তৃপক্ষকে। আর তাঁর সে মহতী উদ্যোগের সুফল ভোগ করছেন এলাকাবাসী। আজ বেশ কিছু স্কুল-কলেজে কম্পিউটার বিজ্ঞান শিক্ষা কোর্স চালু করা হয়েছে।

তিনি ছিলেন একজন অত্যন্ত মেধাবী ও সফল কম্পিউটার বিজ্ঞানী। বাংলাদেশে কম্পিউটার শিক্ষার বিস্তার তথা কম্পিউটার এর ব্যাপক ব্যবহার জনপ্রিয় করে তোলার ক্ষেত্রে তার ভূমিকা অনস্বীকার্য।

এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের অবকাঠামো সৃষ্টিতেও তাঁর ছিল প্রবল আকাঙ্খা। একজন খ্যাতিমান আইনজীবী হিসেবে জীবনে বিনা পারিশ্রমিকে তিনি অনেক অসহায় মানুষের মামলা পরিচালনা করে তাদেরকে কৃতজ্ঞতার পাশে আবদ্ধ করে গেছেন।

সদালাপী, নিরহংকার, সহজ সরল এক দুর্লভ ব্যক্তিত্ব ছিলেন খালেকুজ্জামান। মানুষকে সহজে আপন করে নেবার এক সহজাত ক্ষমতা ছিলো তাঁর, এমনটি দাবি তারই ছোট ভাই সাবেক সাংসদ প্রকৌশলী সহিদুজ্জামানের।

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ