জেলা প্রতিনিধি, কক্সবাজার »
রামু বৌদ্ধ পল্লীতে অপ্রীতিকর হামলার ১০ বছর পূরণ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রামুর চেরাংঘাটা লাল চিং ও মৈত্রী বিহার উপাসনালয়ে বিশেষ স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দিনব্যাপী বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যে প্রথম পর্বে সকাল ৫টায় বুদ্ধপূজা, ৭টায় জাতীয় ও ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন, ৯টায় অষ্ট পরিস্কারসহ মহাসংঘদান করেন বৌদ্ধ ধর্মালম্বীরা।
দ্বিতীয় পর্বে বেলা ১২টা ১মিনিটে রামু বৌদ্ধ যুব পরিষদের সভাপতি কেতন বড়ুয়ার সভাপতিত্বে শান্তিপূর্ণ অল্পক্ষণ ব্যাপ্তির মানববন্ধন শেষে অতিথি ভোজন করা হয়।
বিকাল ৫টায় হাজারো প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে এবং সন্ধ্যা ৭টায় বিশ্বশান্তি কামনায় সমবেত প্রার্থনার মাধ্যমে আয়োজনের সমাপ্তি হয়।
রামু বৌদ্ধ যুব পরিষদের আয়োজনে অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পানেরছড়া বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত সুচারিত মহাথের। প্রধান ধর্মদেশক ছিলেন, দমদমা-নবাবপুর ধর্মকীর্তি বৌদ্ধ বিহারের আজীবন অধ্যক্ষ, বিশ্ব নাগরিক ড. ধর্মকীর্তি মহাথের। এছাড়াও পূজনীয় পন্ডিত, প্রাজ্ঞ ভিক্ষুসংঘসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
রামু বৌদ্ধ যুব পরিষদের সভাপতি বিপুল বড়ুয়া আব্বু বলেন, রামুতে বুদ্ধমুর্তি, বৌদ্ধ বিহার ও বৌদ্ধ বসতিতে ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগসহ উগ্র সাম্প্রদায়িক হামলার ১০ম বর্ষ অতিক্রান্তে সেই বিভীষিকাময় দিনটিকে স্মরণকল্পে মানবতা ও শান্তি কামনায় প্রতিবছর এ দিবসটি পালন করি। ইতিহাসের কালো একটি অধ্যায় এটি। অতীতের মতো বর্তমানেও সকল ধর্মাবলম্বীরা মিলেমিশে বাস করছি। কিন্তু ঘটনায় জড়িতদের এখনো শাস্তি হয়নি। তাই বিচার কার্যক্রম দ্রুত হোক এবং জড়িতদের শাস্তি দাবি করছি।













