কক্সবাজার প্রতিনিধি »
বিশ্ব পর্যটন দিবস ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে কক্সবাজারে চলছে সপ্তাহব্যাপী পর্যটন মেলা। কিন্তু সৈকতেই নেই নিরাপত্তা। শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ভোরে সমুদ্র সৈকতের সীগাল পয়েন্টে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে দুই পর্যটক আহত হয়েছেন। এদের মাঝে একজনের অবস্থা গুরুতর।
আহত পর্যটকরা হলেন— কুমিল্লার তিতাস থানার গোপালপুরের সামশুল হকের ছেলে মেহেদী হাসান (২৭) ও মোশাররফের ছেলে মো. শাকিল (২৯)। তারা সম্পর্কে চাচাতো ভাই।
এদিকে, আহত পর্যটকদের উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসা সেবায় অবহেলার অভিযোগ তুলেছেন আহত পর্যটকরা।
আহত পর্যটক শাকিল জানান, শুক্রবার ভোরে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পৌঁছেন তারা। গাড়ি থেকে নেমে সীগাল পয়েন্ট থেকে সমুদ্রসৈকতে নামেন। এসময় ৫-৬ জন ছিনতাইকারী এসে তাদের ঘিরে রাখে৷ পরে টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়ার পর ধারালো ছুরি দিয়ে মেহেদী হাসানকে আঘাত করতে থাকে তারা। তাকে বাঁচাতে বাঁধা দেয়ার চেষ্টা করলে শাকিলকেও ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় ট্যুরিস্ট পুলিশ ও স্থানীয়রা।
তারা আরও জানান, উদ্ধারের পর কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে পড়তে হয় চিকিৎসা বিড়ম্বনায়। জরুরি বিভাগে দেখার পর তাদের পাঠানো হয় পঞ্চম তলার সার্জারী ওয়ার্ডে। কিন্তু সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার ও নার্স ট্যুরিস্ট পুলিশ এবং আহত পর্যটকদের জানায় শুক্রবারে সার্জারি হয়না।
এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আশিকুর রহমান জানান, শুক্রবার সকালে আহত অবস্থায় দুই পর্যটককে হাসপাতালে আনা হয়। কিন্তু তারা কুমিল্লায় বাড়ি ফিরে চিকিৎসা নিবেন জানিয়ে শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে স্বেচ্ছায় চলে গেছেন। চিকিৎসা সেবায় অবহেলার অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করেন তিনি।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, ছিনতাইকারির ছুরিকাঘাতে দুই পর্যটক যুবকের একজনের বাহুতে আরেকজনের বগলের নিচে আঘাত লেগেছে। তাদের উদ্ধার করে ট্যুরিস্ট পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। সংশ্লিষ্ট ছিনতাইকারিদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। এরই মাঝে আহতরা বাড়ির উদ্দেশে হাসপাতাল ত্যাগ করেছে বলে জেনেছি।
বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে চলমান সপ্তাহব্যাপী বিচ কার্ণিভালের মুখপাত্র জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. আবু সুফিয়ান বলেন, বিষয়টি জানার পর হাসপাতালে ফোন দিয়ে আহত পর্যটকদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দেয়া হয়। পরে কি হয়েছে জানি না। কেউ আমাদের লিখিত অভিযোগ দেয়নি।
তবে, বিচ কার্নিভাল চলাকালে সৈকত এলাকায় নিরাপত্তার ঘাটতি আছে কি?— এমন প্রশ্নে এডিএম বলেন, নিরাপত্তার ঘাটতি থাকার কথা নয়, এরপরও সৈকতে কিভাবে পর্যটক ছুরিকাঘাত হলো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।













