বাংলাধারা প্রতিবেদক »
দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানা এলাকায় গুলি করে নৃশংসভাবে হত্যা মামলার চিহ্নিত প্রধান ২ আসামি কামাল উদ্দিন ওরফে গাছ কামাল এবং মো. ইউসুফকে আটক করেছে র্যাব-৭।
শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে নগরীর বায়োজিদ বোস্তামি থানার ক্যান্টনমেন্ট রেলস্টেশন এলাকায় এবং চান্দগাঁও থানার কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
গ্রেফতার কামাল উদ্দিন ওরফে গাছ কামাল (৩৮) দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার মাইশাবাম এলাকার মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে এবং একই এলাকার মো. নুরুল ইসলাম ছেলে মো. ইউসুফ (২৪)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার।
র্যাব জানায়, নিহত ভিকটিম এনাম উদ্দিনের সাথে গ্রেফতার আসামি কামাল উদ্দিন এবং মো. ইউসুফের সাথে পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে কোন্দল চলে আসছিল। গত ১৯ জুলাই ভিকটিম এনাম বসত ঘরের কক্ষে ঘুমানোর প্রস্তুতি নেওয়ার সময় কামাল উদ্দিন ও মো. ইউসুফ তাদের দলবল নিয়ে দরজায় এসে ভিকটিমের নাম ধরে ডাকাডাকি করলে ভিকটিমের স্ত্রী রুনা আক্তার ঘরের দরজা খুলে। এসময় রুনা চিৎকার কারণ জানতে চাওয়া মাত্রই তাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে দুস্কৃতিকারিরা তাদের হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ভিকটিমের ঘরের ভিতর প্রবেশ করে লাঠি দিয়ে ভিকটিমের বুকে উপর্যুপরি আঘাত করতে থাকে। এক পর্যায়ে ভিকটিম মাটিতে পড়ে গেলে তার স্ত্রী রুনা আক্তার কৌশলে ঘরের বৈদ্যুতিক লাইট বন্ধ করে দেন। ভিকটিম এনাম আত্মরক্ষার্থে মাটি হতে উঠে ঘর থেকে বের হওয়ার চেষ্টাকালে ভিকটিমকে আটকানোর চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে দুস্কৃতিকারীদের হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র এবং বাহিরে পূর্বপরিকল্পিতভাবে অবস্থানরত অপরাপর অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরদের হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা ভিকটিমকে গুলি করে। তখন ভিকটিম দিশেহারা হয়ে বাড়ির পার্শ্ববর্তী জনৈক জাহাঙ্গীরের বসতঘরে প্রবেশ করে খাটের নিচে লুকিয়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করে। কিন্তু ঘাতক পাষণ্ড সশস্ত্র দুস্কৃতিকারীরা জাহাঙ্গীরের বসত ঘরে প্রবেশ করে খাটের নিচ হতে বের করে ভিকটিম এনামের ডান বুকের উপর গুলি মৃত্যু নিশ্চিত করে। এসময় এলাকার লোকজন ভিকটিমকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে রাজারহাট বাজারে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার ডা. আশিষ কুমার সরকারের কাছে নিয়ে গেলে তখন ভিকটিম এনামকে মৃত ঘোষণা করেন।
এই ঘটনায় ভিকটিমের ছোট ভাই বাদী হয়ে রাঙ্গুনিয়া থানায় ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ৫ জন নামীয় এবং অজ্ঞাত নামা ৭/৮ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে নগরীর বায়োজিদ বোস্তামি থানার ক্যান্টনমেন্ট রেলস্টেশন এলাকায় এবং চান্দগাঁও থানার কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উভয়ই এই নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ডের সাথে সরাসরি জড়িত ছিল মর্মে অকপটে স্বীকার করে। আসামিদের আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।













