নিজস্ব প্রতিবেদক »
পলোগ্রাউন্ড মাঠে বিএনপির গণসমাবেশে কথা রাখেনি বিএনপি। গতকাল (মঙ্গলবার) বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী লাঠিসোঁটা নিয়ে কর্মীরা সমাবেশে যোগ দিবেনা বললেও আজ দেখা গেছে এর উল্টো চিত্র। শুধু তাই নয়, সমাবেশের জন্য দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে সাধারণ মানুষদের।
বুধবার (১২ অক্টোবর) বিকেলে পলোগ্রাউন্ড মাঠ ও এর আশেপাশের এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এসব চিত্র।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাস-ট্রাক যোগে ও মিছিল সহকারে যোগ দিয়েছেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা। এসময় তাদের হাতে ছিল কাঠ ও বাঁশ দিয়ে তৈরি করা লাঠিসোঁটা। পলোগ্রাউন্ড মাঠে সমাবেশস্থল হলেও টাইগারপাস, সিআরবি সাত রাস্তার মোড়, পলোগ্রাউন্ড মাঠের বাইরে, কদমতলী মোড়ে এসব লাঠিসোঁটা হাতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের অবস্থান নিতে দেখা যায়।

এদিকে বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় গুলোতে সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের। কড়া নজরদারিতে রাখা হয়েছে সমাবেশস্থলের আশেপাশের এলাকা।
সমাবেশের নামে জনদুর্ভোগ
বিএনপির সমাবেশ ঘিরে নগরীতে ভোগান্তিতে পড়েছে ছাত্র-ছাত্রী ও সরকারি-বেসরকারি অফিসগামী চাকুরিজীবীরা। গাড়ি সংকটের কারণে অনেকেই পড়েছেন দুর্ভোগে, যেতে পারেননি গন্তব্যস্থলে। চাকরির ইন্টারভিউ দিতে এসেও অনেকেই বাসায় ফিরেছেন হতাশ হয়ে।

দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে টাইগারপাস মোড়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন কলেজছাত্র শফিউল। পরীক্ষা দেওয়ার জন্য সকালে ঘর থেকে বের হলেও পাচ্ছিলেন না গাড়ি। তিনি বলেন, ‘সমাবেশ করবে ভাল কথা। আমরা এভাবে ভোগান্তির মধ্যে পড়ার মানে কি? আমরা তো ভাই রাজনীতি করি না। আজ পরীক্ষাই দেয়া হবেনা।’
ওয়াসা মোড়ে ৪৫ মিনিট ধরে গাড়ির জন্যে দাঁড়িয়ে ছিলেন ইফতেখার আসিফ। তিনি বলেন, ‘আজ ইপিজেডে একটা চাকরির ইন্টারভিউ ছিল। আধঘন্টা দাঁড়িয়েও গাড়ি পাচ্ছি না। এখন মেট্রো প্রভাতীর টিকেট কেটেছি। কিন্তু ১৫ মিনিট হয়ে গেল গাড়ি আসছেনা। জানিনা আজ ইন্টারভিউতে সময়মতো পৌঁছাতে পারব কিনা।’
কথা রাখেনি বিএনপি
মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) চট্টগ্রামে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে গণসমাবেশ উপলক্ষে আয়োজিত এক সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছিলেন, ‘জনগণের ওপর আস্থা রেখে বিএনপির রাজনীতি। আমাদের জনগণকে নিয়ে রাজনীতি। জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে। যেখানে লাখ জনতা রাস্তায় নামে তারা তো একেকটা লাঠির চেয়ে শক্তিশালী। একজন বাংলাদেশের নাগরিক লাঠির চেয়ে শক্তিশালী, চাইনিজ রাইফেলের চেয়ে শক্তিশালী।’

তিনি বলেছেন, ‘আমাদের কোনো অস্ত্রশস্ত্র ও লাঠির দরকার নেই। যাদের দুর্বলতা আছে তারা লাঠি নিয়ে নামে। যারা নিজেরা কিছু করতে পারছে না তারা প্রতিরোধের কথা বলছে। জনবিচ্ছিন্ন হয়ে একাকী হয়ে আছে, তারা প্রতিরোধের কথা বলে। কেউ সভা সমাবেশ করলে বিএনপি প্রতিরোধ করবে না। বিএনপি কাউকে বাধা দেবে না। সবার সাংবিধানিক অধিকার আছে সভা-সমাবেশ করার। এর বাইরে কেউ কিছু করতে চাইলে সেটা অসাংবিধানিক হবে।’
বাংলাধারা/আরএইচআর













