কক্সবাজার প্রতিনিধি »
আজকের শিশু দেশের আগামীর ভবিষ্যৎ উল্লেখ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান বলেছেন, চারা বয়সে পরিচর্যায় একটি গাছ সতেজ হিসেবে বেড়ে উঠে। তেমনি শিশুদের ছেলেবেলা থেকেই পরিচর্যায় বড় করা গেলে তারা হবে সোনার বাংলার সম্পদ। শিশুদের স্বাস্থ্য সচেতন করা গেলে মিলবে পরিচ্ছন্ন স্বাস্থ্য সম্মত জাতি। তাই পরিচ্ছন্ন ভাবে বেড়ে উঠতে পড়াশোনার পাশাপাশি হাতধোয়ার অভ্যাস করতে হবে। শিশুদের মাঝে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দায়িত্ব সচেতনতা প্রাথমিক গন্ডি থেকেই শুরু করা দরকার। কেননা শরীর সুস্থ না থাকলে মন দিয়ে লেখাপড়া করা হয়ে উঠবে না।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বিশ্ব হাতধোয়া দিবস উপলক্ষে রোববার (১৬ অক্টোবর) কক্সবাজারের কলাতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেছেন।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট এবং কানাডিয়ান রেড ক্রস সোসাইটির সহযোগিতায় অনুষ্ঠানে সারা দেশের সাতটি বিভাগের আরো সাতটি ভেনু থেকে ভার্চুয়ালী সংযুক্ত থেকে শিশুরা এ বর্নাঢ্য অনুষ্ঠান উপভোগ করে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতের সভাপতিত্বে বর্ণিল এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, দি কানাডিয়ান রেড ক্রসের কান্ট্রি ফোকাল ও হেলথ ম্যানেজার ডা. সুকন্যা প্রীতি, বিডিআরসিএস’র পরিচালক ও হেড অফ অপারেশন এম এ হালিম, জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের উপ-কমিশনার ডা. সামশুদ্দৌজা নয়ন, কক্সবাজার প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মুজিবুল ইসলাম ছাড়াও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং স্থানীয় পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রথমবারের মত দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে কক্সবাজারকে ভেন্যু করা হয়েছে।
শিশুদের উদ্দেশ্যে বক্তারা বলেন, পড়াশোনার পাশাপাশি হাতধোয়াসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষার অনুসরণীয় নির্দেশাবলি মেনে চলতে হবে। এটি কার্যকর করতে বিদ্যালয়ে শিক্ষক ও পরিবারে অভিভাবকদের সতর্ক দায়িত্বপালন করতে হবপ।
সংশ্লিরা জানান,এই বছরে কিছুটা স্বল্প পরিসরে দিবসটি পালিত হলেও আগামী বছর হতে সারাদেশব্যাপী আরো জাঁকজমকভাবে দিবসটি উদযাপন করা হবে।













