বাংলাধারা ডেস্ক »
উপকূল অতিক্রম করে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং শক্তি হারিয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। ধীরে ধীরে আরো দুর্বল হয়ে আজ মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) এটি গুরুত্বহীন হয়ে পড়বে।
রাতভর ঝড়ো হাওয়া, বৃষ্টি, জোয়ারের পানির শঙ্কায় কেটেছে। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ চৌধুরী জানান, চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে দেখানো ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলেছে। ঘূর্ণিঝড়ের বিপদ কাটলেও চট্টগ্রামের নিম্নাঞ্চলের মানুষ এখনো জোয়ার কিংবা জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কায়। তবে পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতে দেখা গেছে, উত্তাল সাগর ভোরের আলো ফুটতেই অনেকটা শান্ত।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি ঘোষণা করায় সড়কে মানুষ ও যানবাহনের আনাগোনা কম। কর্মস্থলমুখী মানুষেরই দেখা মিলছে। আশ্রয়কেন্দ্র থেকেও কিছু মানুষ ঘরে ফিরেছেন।
তবে এখনো স্বাভাবিক হয়নি চট্টগ্রাম বন্দর, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঝড়ো হাওয়ায় নগর ও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গাছ উপড়ে পড়েছে। অনেকের কাঁচা ঘর ভেঙে গেছে। রাতে জোয়ারের পানি ঘরে ঢুকেছে নিম্নাঞ্চলের অনেক ঘরে। পতেঙ্গা, খাতুনগঞ্জ, চাক্তাই, আছাদগঞ্জ, পাথরঘাটা, কাট্টলী, বাকলিয়া, ফিরিঙ্গিবাজার, আগ্রাবাদ, হালিশহরসহ নিম্নাঞ্চলের কিছু সড়কেও পানি উঠেছিল।













