৬ নভেম্বর ২০২৫

আজ থেকে শুরু এইচএসসি পরীক্ষা, চট্টগ্রামে পরীক্ষার্থী ৯৪ হাজার

বাংলাধারা প্রতিবেদক »

গত বছরও চট্টগ্রাম বোর্ডের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থী ছিল ১ লাখ ১ হাজার ১০২ জন। কিন্তু চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষায় চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড থেকে অংশ নিচ্ছে ৯৩ হাজার ৮৮৯ জন পরীক্ষার্থী। অর্থাৎ এবার কমেছে ৭ হাজার ২১৩ জন পরীক্ষার্থী।

আজ রোববার (৬ নভেম্বর) থেকে চট্টগ্রামসহ সারাদেশে একযোগে শুরু হচ্ছে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা।

শিক্ষাবোর্ডের তথ্যমতে, চট্টগ্রামের ১১১টি কেন্দ্রে ২৬৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্র ৪৫ হাজার ৩৩৯ জন এবং ছাত্রী ৪৮ হাজার ৫৪৩ জন।

এছাড়া চট্টগ্রাম জেলায় (মহানগরসহ) পরীক্ষায় অংশ নিবে ৬৮ হাজার ৯৯৬ জন, কক্সবাজারে ১১ হাজার ৪৫৪ জন, রাঙামাটিতে ৫ হাজার ১১৫ জন, খাগড়াছড়িতে ৫ হাজার ৪৭১ জন, বান্দরবানে ২ হাজার ৮৫৩ জন পরীক্ষার্থী।

বিজ্ঞান বিভাগ থেকে অংশ নিবে ১৮ হাজার ৬৭৫ জন পরীক্ষার্থী। তারমধ্যে ৯ হাজার ৭৮৬ জন ছাত্র ও ৮ হাজার ৮৮৯ জন ছাত্রী।

আর মানবিক বিভাগ থেকে ৪১ হাজার ৯৮৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৭ হাজার ৪২৩ জন ছাত্র ও ২৪ হাজার ৫৬৫ জন ছাত্রী।

ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ৩৩ হাজার ২১৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৮ হাজার ১৩০ জন ছাত্র ও ১৫ হাজার ৮৯ জন ছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নেবে।

চট্টগ্রাম বোর্ড সূত্র জানায়, সুষ্ঠু পরিবেশে পরীক্ষা সম্পন্ন করতে বন্ধের দিনেও খোলা থাকবে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড।

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ বলেন, পরীক্ষা সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য দ্রুত বোর্ড কর্তৃপক্ষকে পাঠাতে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। এছাড়া পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে পরীক্ষার আগের দিন আজ শনিবারও অফিস খোলা রেখেছে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড।

এদিকে, এইচএসসির প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজবমুক্ত, নকলমুক্ত, সুষ্ঠু ও ইতিবাচক পরিবেশে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে নির্দেশনা জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শনিবার (৫ নভেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে এ নির্দেশনা জানানো হয়।

নির্দেশনা অনুযায়ী, পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া পরীক্ষা কেন্দ্রে অন্য কেউ মোবাইল ফোন বা অননুমোদিত ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবেন না।

পরীক্ষা শুরু হওয়ার ২৫ মিনিট আগে প্রশ্নের সেট কোড ঘোষণা করা হবে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব সৃষ্টিকারী ব্যক্তি/ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কোনো প্রতিষ্ঠান, প্রতিষ্ঠান প্রধান, শিক্ষক কোনোভাবে পাবলিক পরীক্ষায় বেআইনি কাজ করলে সে প্রতিষ্ঠান, প্রতিষ্ঠান প্রধান ও শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং প্রয়োজনে পরীক্ষা কেন্দ্র বাতিল করা হবে।

পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি (যেমন পরীক্ষার্থী, কক্ষ পর্যবেক্ষক, মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্র পরিদর্শন টিম, বোর্ডের কেন্দ্র পরিদর্শন টিম, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের পরিদর্শন টিম, নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য) ছাড়া অন্য কেউই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না।

প্রশ্নপত্র বিতরণের আগে সময়সূচি অনুযায়ী বিষয়, বিষয় কোড, পত্র ও সেট কোড নিশ্চিত হয়ে কক্ষ পর্যবেক্ষকরা বিতরণ করবেন।

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ