২৩ অক্টোবর ২০২৫

দুমুখো সৎ

সানজিদা শারমিন »

সমাজে সৎ লোক আছে, তবে বেশিরভাগই মেরুদণ্ডহীন। কেনো বলছি? তারা নিজেরা কাজে ও কথায় ঠিক থাকবে, সত্য কথা বলবে, পরনিন্দা করবে না। আবার সামনে কোনো অন্যায় দেখলে প্রতিবাদও করবে না। কারণ, প্রতিবাদ করতে গেলে তাকে লোকের কাছে খারাপ হতে হবে!

আর তারা সৎ বলে অত্যাচারিতরা যখন তাদের কাছে বিচার নিয়ে যায় সুবিচার পাবার আশায়, তখন তারা মৌনতা অবলম্বন করে। কারণ সে যদি দোষীদের বিপক্ষে বলে— তবে তাকে তাদের তোপের মুখে পড়তে হতে পারে। কিন্তু তারা সান্ত্বনা দিতে ভুল করে না ওই পীড়িতকে।

আরে ভাই, শুকনা কথায় যদি চিড়া ভিজতো, কাউকে হাত করার জন্য এতো টাকা খরচ করতে হয় কেনো? চোখের সামনে সব হতে দেখেও মৌনতা অবলম্বন করো, আবার আড়ালে গিয়ে আফসোস করো, লাভ কি?

বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে লেখা— এমন বেশির ভাগ সৎ ব্যক্তি আছে যারা দোষীদের দল ভারি দেখলে মৌনতা অবলম্বন করে সেখানে ঢুকে পড়েন, নিজেকে সব কিছু থেকে বাঁচিয়ে চললে দুনিয়া কি করে আপনাকে চিনবে? নিজের সততা প্রকাশ করতে হলে অন্যায় দেখলেই রুখে দাঁড়ান, সত্যের পক্ষ হয়ে লড়ে যান।

হ্যাঁ, সমাজে সমালোচনার ঝড় উঠবে কিছুদিনের জন্য আপনাকে নিয়ে। দোষী পক্ষের তোপের মুখেও পড়তে হতে পারে। কিন্তু কিছুদিন পর সত্যের জয়গানই বাজবে, সবাই আপনাকেই চিনবে প্রতিবাদী হিসেবে— এমন উদাহরণও কম নেই পৃথিবীতে।

নিজেকে সীমাবদ্ধতার গণ্ডী থেকে বের করে আনুন, নিজের মনুষত্ববোধকে জাগ্রত করুন, নিজের মতকে প্রকাশের চেষ্টা করুন, জয় আপনারই হবে।

লেখক : শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

আরও পড়ুন