নিজস্ব প্রতিবেদক »
মনছুর আলম পাপ্পী। বোয়ালখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি তিনি। পুলিশের তালিকায় এ নেতা চোর হিসেবে থাকলেও ‘বোয়ালখালীর বাদশা’ হিসেবেই বেশি পরিচিত তিনি। পুলিশ-প্রশাসন থেকে শুরু করে সরকার, সবাই তার ‘কাছের লোক’।—এমন কথারও প্রচলন রয়েছে চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে। সম্প্রতি তার ভাই মো. আলম ববি ও তার বিরুদ্ধে ‘পুলিশ পরিচয়ে’ হাসান বিল্ডার্স নামে একটি প্রতিষ্ঠানের ড্রেজারের মালামাল চুরির চেষ্টার মামলা হলে জামিনও পান দুজন। জামিন পাওয়ার পরপরই বাদীকে কটুক্তি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে নিজের কাঁধে ফের তুলেছেন আইসিটি মামলা।
সোমবার (১৪ নভেম্বর) ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে চট্টগ্রামের সাইবার ট্রাইবুনালে এই মামলা দায়ের করেন ‘হাসান বিল্ডার্স’র চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাসান।
একই মামলায় মনছুর আলম পাপ্পীর ভাই মো. আলম ববিসহ আসামি করা হয়েছে বোয়ালখালী কধুরখীল এলাকার বাসিন্দা মামুন চৌধুরী ও ওয়াহিদুর রহমান বাদশা নামের আরও দুইজনকে।
বাদী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট আনোয়ার হোসেন আজাদ বলেন, ‘সম্প্রতি পুলিশ পরিচয়ে কালুরঘাট সাইট থেকে ড্রেজারের মালামাল চুরির ঘটনায় ৩ জন হাতে-নাতে আটক হন। সেই চুরির মামলার ৫ আসামির মধ্যে মনসুর আলম পাপ্পী ও মোহাম্মদ আলম ববিও রয়েছে। উচ্চ আদালত থেকে জামিনে এসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার মক্কেল ব্যবসায়ী মোহাম্মদ হাসানকে নিয়ে বিষোদগার করেছেন, তার চরিত্রহনন করেছেন। চুরির মামলার বাদিকে ফেসবুকে হুমকি দিয়েছেন।
আজাদ আরও জানান, ‘আসামিদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ২৯ ও ৩৫ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।’
প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী থানায় পাপ্পীর বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগে মামলা হয়েছিল। চুরির ঘটনায় ২০১১ সালের ১৬ অক্টোবর রাজধানীর নিউমার্কেট থানায়ও তার বিরুদ্ধে মামলা হয়।
বাংলাধারা/আরএইচআর













