রাউজান প্রতিনিধি »
চট্টগ্রামের রাউজানে পারিবারিক বিরোধের জেরে সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি কিরিচ ও ছুরিকাঘাতে আহত সিরাজুল ইসলাম (২৮) নামে এক যুবক নগরীর একটি হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। গত ১৩ নভেম্বর রাউজান উপজেলার পাহাড়তলী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের খানপাড়া গ্রামের হাফেজ বজলুর রহমান সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় গত ১৫ নভেম্বর চট্টগ্রাম চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ঘটনার নির্দেশদাতা ও পরিকল্পনাকারী হিসেবে আলী আজগরকে (৪২) প্রধান আসামি করে আরও ৬ জনের নাম উল্লেখ করে আজ্ঞাত ৩/৪ জনকে আসামি করে মামলা (সিআর মামলা ৩৯০/২০২২) দায়ের করা হয়।
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলো— উপজেলার পাহাড়তলী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের খানপাড়া গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য নুরুল ইসলামের তিন পুত্র মো. জুয়েল (২৫), মো. কায়েস(২৮) ও মো. হায়দার (২২), মৃত করিম বক্সের পুত্র মো. জসিম (৩৮), মোহাম্মদ ইউসুফের দুই পুত্র মো. ইউনুস (২৭) ও মো. ইসহাক (২০)।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) বিকাল ৪টায় উপজেলার পথেরহাটে একটি রেস্তোরাঁয় আহত সিরাজের পাঁচ বছর বয়সী শিশু তাকদিরকে সাথে নিয়ে আহতের মা মেহেরুন্নেছা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে লিখিত ব্যক্তব্যের মাধ্যমে এই ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে হত্যার চেষ্টাকারীদের বিচারের দাবি করেন।
তারা সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ এনে বলেন, ‘থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ শর্তজুড়ে দিলে নিরুপায় হয়ে তারা চট্টগ্রাম চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করি। হত্যা চেষ্টার ঘটনা চার দিন পরও আসামিরা বীরদর্পে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার করেননি।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আহতের মামী ফাতেমা বেগম, শাশুড়ি জোসনা আক্তার, চাচাত বোন মারওয়া বেগম, মরিয়াম বেগম, ভাগনি পারভীন আকতার, মামাত ভাই মো. অভি খান, মো. মেহেদী ও সাদেক।
তারা দাবি করেন, বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কর্মী আলী আজগরের লেলিয়ে দেওয়া সন্ত্রাসীরা মো. সিরাজকে জবেহ করে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন। অপরদিকে ঘটনার পরের আজগরের মিথ্যা মামলায় আহতের ভাইকে পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। অথচ তারা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এবং নানান রকম হুমকি দিচ্ছেন। তারা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার নির্দেশদাতা, পরিকল্পনাকারী ও জড়িতদের বিচারের দাবিতে স্থানীয় সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, সাংসদ পুত্র ফারাজ করিম চৌধুরীসহ প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।













